অতিথি সৎকার
Views: 100
হাবলা আর পটলা দুই বন্ধু। পটলা শহরে কাজ পেয়ে চলে গেছে। হাবলা গাঁয়ের সিনেমা তলায় একটা হোটেল খুলেছে। একে নম্বরের কিপটে। অনেক দিন পর পটলা গাঁয়ে ফিরে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেছে।
পটলা – আরে হাবলা, কেমন আছিস?
হাবলা – কে ও পটলা – ওঃ কতদিন পরে গাঁয়ে এলি রে।
পটলা – হ্যাঁ রে অনেক দিন এলাম। বাঃ তুই হোটেল খুলেছিস। তা বেশ তোর এখানেই তাহলে খাওয়া দাওয়া সারা যাবে।
হাবলা – বস বস। তা কি খাবি বল ?
পাতলা – (একটু চিন্তা করে) তুই খাওয়া বি? সবাই বলে তুই যা কিপটে।
হাবলা – যাঃ সব বাজে কথা। বল কি খাবি?
পটলা – তুই যা খাওয়া বি তাই খাবো।
হাবলা – বেশ বেশ লুচি কষা মাংস আর মিষ্টি কেমন হবে?
পটলা – আঃ দারুন হবে।
হাবলা – ঠাকুরকে তাই করতে বলি। তবে হ্যাঁ কষা মাংসর সাথে লুচি বা পরোটা খাবি?
পটলা – পরোটাই ভাল।
হাবলা – পরোটা – তা আটার না ময়দার না বি-আটার।
পটলা – আটার না ময়দার।
হাবলা – তা বেশ কি দিয়ে ভাজা হবে। সাদাতেল না ঘি দিয়ে।
পটলা – না না তেল নয় ঘি দিয়ে।
হাবলা – বাঃ ঘি না হলে পরোটা ভালো হয়। তা কি ঘি হবে বনস্পতি না গাওয়া ?
পটলা – তুই যখন একদিন খাওয়াচ্ছিস তখন গাওয়াই চলবে।
হাবলা – তা গরুর দুধের গাওয়া না মোষের দুধের গাওয়া ঘি।
পাতাল – অ্যাঁ, তা ধর গরুর দুধের গাওয়া।
হাবলা – কি গরু ? দেশী গরু না জার্সি গরু?
পটলা – দুত্তর – জার্সি গরু।
হাবলা – কি জার্সি ইস্টবেঙ্গল না মোহন বাগান?
পটলা – অ্যাঁ সেকি রে তুই কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছিস। না ভাই আমার খেয়ে দরকার নেই আমি চললাম, এক গ্লাস জল দে খেয়ে যাই।
হাবলা – জল খাবি খালি ? তা বেশ। তা কোন গ্লাসে খাবি কাঁচের না কাঁসারের ?
পটলা – উঃ কাঁচের গ্লাসে দে।
হাবলা – জল তো? তা কলের জল না টিউবওয়েল এর জল ?
পটলা – ওরে বাবা টিউবওয়েল এর জল দে। (চিৎকার করে)
হাবলা – হ্যাঁ তা এমনি টিউবওয়েল না সিলিন্ডার টিউবওয়েল?
পটলা – আঃ…….উঃ না না আমার জলও চাই না আমি চললাম। রাস্তায় জল খাবো।
হাবলা – এই দেখ। তা এতক্ষন তো সেটাই বললে হতো। খামকা—-আচ্ছা আসিস আবার।
পটলা – আর তোর এখানে আসছি না। মরে গেলেও আসবো না। (প্রস্থান)
হাবলা – হা-হা-হা মনে থাকে যেন -।
Darun…