তথ্যপ্রযুক্তি আর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

1

Visits: 68

তথ্যপ্রযুক্তি (Information Technology) সারা পৃথিবী জুড়ে এই শব্দটির মূল্য আজ অপরিসীম। সারা বিশ্ব তথা ভারতবর্ষেও এর বিপুল চাহিদা। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যে সকল কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে তার বেশিরভাগের সাথেই এই তথ্যপ্রযুক্তি (Information Technology) অতপ্রত ভাবে জড়িত। যে কোন ছাত্র-ছাত্রী নিজের পড়াশোনা শেষ করার পরে কোন চাকরি বা ব্যবসায়ে ঢোকার চেষ্টা বা চিন্তা করে, তখন তার সামনে এই তথ্যপ্রযুক্তির (IT-Information Technology) জ্ঞান (Knowledge) আবশ্যিক হয়ে পরে। যে কোন অফিস, ব্যবসা এই প্রযুক্তি ছাড়া আজ অচল। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এই  প্রযুক্তির পদচিহ্ন সুস্পষ্ট। এই social media এর যুগে আমরা ক্রমশই এই প্রযুক্তির সাথে আষ্ঠে পিষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছি। 

অর্থাৎ এটা সাধারণভাবেই বলা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি (IT-Information Technology) আমাদের জীবনের একটি বিশেষ স্থান অধিকার করছে। তথ্যপ্রযুক্তির (IT-Information Technology) সমস্ত দিক দিয়েই যে আমাদের ভালো করে তা নয় সব কিছুর মতনই এই তথ্যপ্রযুক্তির ও (IT-Information Technology) ভালো ও খারাপ দিক আছে। খারাপ দিকটা বাদ দিলে এই প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক ভাবে সক্ষম হবার অনেক পথ খুলে দিয়েছে। আর তথ্যপ্রযুক্তি (IT-Information Technology) যেহেতু পরিবর্তনশীল (Upgradable) সেই কারণে এর চাহিদাও দিনে দিনে বাড়বে বই কমবে না।

আগ্রহ কমের কারণ

কিন্তু আমাদের এই তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষার প্রতি আগ্রহ খুবই কম। তার কিছু কারণ অবশ্যই আছে, সেগুলি হল-

  1. ছোট থেকে আমাদের এই শিক্ষার প্রতি আগ্রহ না জাগানো, বাড়ির অভিভাবক থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এই প্রযুক্তিতে ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়াতে অক্ষম। বর্তমানে কিছু English Medium School দায়িত্ব নেওয়ায় পরেও তারাও সম্পূর্ণরূপে আগ্রহী করে তুলতে অক্ষম।
  2. সরকারি তরফ থেকে এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্কুল সিলেবাসের আওতায় আনার পরেও প্রচুর গাফিলতি রয়ে গেছে। শুধুমাত্র পরীক্ষায় নাম্বার তোলার জন্য যেটুকু দরকার সেই সামান্য টুকুও অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরাই করে না। তার কারণ কিছু সাজেশন ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর মুখস্ত করলেই হয়ে যায়।

সরকারী স্কুল গুলোতেও উপযুক্ত কম্পিউটারের অভাব তো আছেই। Class XI-XII সিলেবাসে Computer Application, Computer Science, subject টি থাকা সত্ত্বেও খুব কম সংখ্যক student ই এই গুলি নিতে আগ্রহী হয়। এবং যে সমস্ত student এই subject গুলি (Computer Application, Computer Science) choose করে তাদের মধ্যেও অধিকাংশ এই subject টাকে খুবই অবহেলার মধ্যে রাখে। কিন্তু তা সত্ত্বেও result এ ভালো একটা নাম্বার পেয়ে পরবর্তী student দের কাছে এই massage টি দেয় যে, computer application or science খুবই scoring subject বিনা পরিশ্রমে, বিনা class করে, বিনা private tutor রেখে, ভালো marks তোলা যায়। আজকের ছাত্র ছাত্রীরা উপরের চিন্তা ভাবনা গুলিকে ভুলে সেই বয়স থেকেই computer শিক্ষাকে ধরা বাধা শিক্ষার মতন চালিয়ে  যেতে পারে তাহলে আমার বিশ্বাস graduation (স্নাতক) পাস করার পর তাদের অধিকাংশই চাকরি বা ব্যবস্থা করার উপযুক্ত হয়ে উঠবে।

চাকরি বা কর্মসংস্থান

চাকরি বা কর্মসংস্থান শুধুমাত্র সরকারের দায়িত্ব নয়। নিজেকেও একটি উপযুক্ত চাকরির উপযুক্ত কর্মী হিসাবে গড়ে তুলতে হয়। যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা সেই জিনিসটি করেছিল সেই সময় তারা আজ অবশ্যই কোন না কোন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। তাই আমাদের উচিত যত ছোট থেকে তথ্যপ্রযুক্তি (IT-Information Technology) শিক্ষার knowledge বাড়ানো সম্ভব সেটা আরম্ভ করে দেওয়া। আজ online এ অনেক Institute আছে যারা বাচ্চাদের programming coding ও শেখাচ্ছে। যেমন- White Hat Junior, CDIS যে সমস্ত বাচ্চারা ছোট থেকেই এই ধরণের advance level এর তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই তথ্যপ্রযুক্তি শিখে কোন না কোন পদচিহ্ন রাখবেই সেটা আশা করা যায়। তাই সকলের কাছে অনুরোধ নতুন প্রজন্মকে এই শিক্ষার আওতায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ে আসা।

সুখবর এটাই যে লিখিত পড়িত ভাবে অনেক ব্যবস্থাই নেওয়া আছে শুধুমাত্র সেই টাকেই একটু কঠোরভাবে পরিচালনা করা, শেখা এই ভাবেই আমরা তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারব এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পেও আরও অগ্রগতি ঘটবে।

https://www.facebook.com/srijoni.co.in

আরো পড়ুন

What’s your Reaction?
+1
11
+1
0
+1
27
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

About Post Author

1 thought on “তথ্যপ্রযুক্তি আর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *