কৈলাসে সাংবাদিক

Views: 4
কৈলাসে সাংবাদিক:
কৈলাসে, হুলুস্তুল। মর্ত্যের এক সাংবাদিক কৈলাসে এসে হাজির। একে তো গনেশ, কার্ত্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী এমন কি মা দুর্গা পর্যন্ত্য খুব উত্তেজিত হয়ে আছেন, সে তারা এখন মর্ত্যে যেতে পারছেন না। এই সবে আগস্ট মাস, অক্টোবর হতে এখনও দুমাস বাকি। আর এদিকে আর জি কর কান্ডে এনারা যোগ দিতে পারছেন না, কম আপসোস। মাথা গরম হয়ে আছে সবার, মা দুর্গা লিডার হয়ে স্বর্গের সব দেবীদের নিয়ে ১৪ই আগস্টের মিছিলে যোগদান দেবেন বলে ঠিক করে ছিলেন, কিন্তু না!;হল না|
মহাদেব বারন করলেন। বললেন, ” তা হয় না দেবী, আমরা মর্ত্যে গিয়ে মর্ত্যেবাসীর সঙ্গে মিলিত হতে পারি না। তাতে আমাদের মাহাত্মো কমে যাবে। আমরা আর মর্ত্যেবাসীর কাছ থেকে পুজো পাবো না, ফলমূল-মিষ্টি মালাটা ক্ষীর ননী এসব আর কিছুই পাবোনা। ভালো ভালো কাপড় চোপরও বাদ চলে যাবে।”
এই সব শুনে খুব রাগ করেছিলেন, মা দুর্গা| মহাদেরের সঙ্গে প্রায় হাতাহাতির উপক্রম |
শেষে নারায়ণ বললেন,-“না বোন, তা কি করে হয়? • এখনো তোমাদের যেতে দুমাস বাকি। এখন গেলে কি পরিচয়ে যাবে? গেলে যদি বলে, আপনাদের তো ডাকি নি। তখন কি বলবে?” চুপ করে যান মা দূর্গা
কার্তিক গনেশ এসে মাকে বলে,-“মা শান্ত হও |দেখ কি কান্ড হয়েছে। “
লক্ষী সরস্বতী বলে,-” কি হয়েছে রে ভাই?”
কার্ত্তিক বলে,-” মর্ত্যের এক সাংবাদিক স্বর্গে এসে হাজির।”
“সে কি? কি ভাবে এল?” বলেন মা দুর্গা|
গনেশ বলে,-” যাক বাবা, তবু ওর কাছ থেকে আপডেট কিছু খবর পাওয়া যাবে।”
লক্ষ্মী বলে, – ” আরে থাম। ও এলা কি ভাবে স্বর্গে? এটাই আপডেট।”
নারায়ন বলেন, -” তাই তো, কি আশ্চর্য্য কথা। এখুনি যমরাজকে ডেকে পাঠাও। নন্দী- যাও। খবর দাও যমরাজকে “
নন্দী চলে যায়|
মহাদেব বলেন, -” হ্যাঁরে কার্ত্তিক তুই বললি সাংবাদিকাটা কৈলাসে এসেছে? কোন দিকে?”
কার্ত্তিক বলে,-“হ্যাঁ বাবা, চীনের প্রাচীরের দিকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। ভূঙ্গি দেখেছে।”
মহাদেব চুপ করে থেকে আরো বলেন-” হ্যাঁ-রে ছেলে না মেয়ে? মেয়ে যদি হয় তাহলে সম্মান দিয়ে নিয়ে আয়, আর ছেলে যদি হয় মারতে মারতে নিয়ে আসবি।”
মা দুর্গা বলে- “কেন? দুজনার প্রতি দু-রকম মনোভাব কেন?”
মহাদেব বলেন,-” বাবাঃ- তোমাদের মর্ত্যের এখন মেয়েদের কিছু বলার উপায় আছে।”
মা দুর্গা – “আমাদের মর্ত্য What do you mean?”
মহাদেব-” তোমারাই তো মর্ত্যে যাও। আমি কি যাই, ঘন ঘন কারা যায়? তোমরাই তো। এখন R.G. Kar-এর ঘটনায় কারা যাব যাব করছিল। তোমরাই তো| তা তোমাদের মর্ত্যই বটে”|
মা দূর্গা-” selfish- তুমি যাওনা মর্ত্যে, শিব রাত্রির দিন। নীলষষ্ঠীর দিন, তারপর অন্নপূর্ণাপূজোতে আমার সঙ্গে -যাও না?”
কার্ত্তিক “ব্যাস, তোমরা ঝগড়া নিয়েই থাকো। আসল কি ব্যাপার তা জানার দরকার নেই।”
এমন সময় যমরাজ এসে হাজির। হাত জোড় করে বলে,-” ধর্মাবতার, আমার কোন দোষ নেই।”
সঙ্গের দুই যমদূতকে দেখিয়ে আবার বলে ,-” এই দুই গন্ড মুখ্যু ওকে নিয়ে এসেছে।”
নারায়ন- “দোষ দেওয়া বন্ধ করে আসল ব্যাপার কি হয়েছে তাই বলো। জীবন্ত মানুষ কেন স্বর্গে – আর এই কৈলাশেই। এখানে কোথাও কি protector নেই?” মানে সিকিউরিটি নেই?”
যমরাজ -” বলছি ধর্মাবতার। এই দুই যমদূত 27শে আগস্ট ছাত্ররা যখন নবান্ন অভিযান করছিল ;তখন তো পুলিশরা টিয়ার গ্যাস জলকামান ছুঁড়ছিল। । তখন সেখানে এই সাংবাদিক মাটিতে মরার মত উপুর হয়ে শুয়ে ছিল। আর এই যমদূতরা, কোথাও কোন লাশ না পেয়ে ওকেই লাশ ভেবে স্বর্গে নিয়ে এসেছে। এখানে এসে বিশুদ্ধ হাওয়ায় ঐ সাংবাদিকের জ্ঞান ফিরে আসে ।তখন ওই ছেলেটি উল্টে চ্যালেঞ্জ করে, ওকে কেন স্বর্গে বলেছি।দোষারোপ করে ওই দুই যমদূতকে | তখন আমি ক্ষমা চেয়ে বললাম, যে তোমায় যেখান থেকেএনেছে সেখানেই দিয়ে আসছি। তখন ঐ ছেলেটি বলে যে যখন এসেছি তখন একবার ভোলে বাবার সঙ্গে দেখা করে যাই।”
মহাদেব- “আর তখন তুমি আমার এখানে পাঠিয়েদিলে। তাই তো ?”
যমরাজ – “আজ্ঞে হ্যাঁ, কি আর বলি|”
মহাদেব – “তুমি জানো না, আমার দু-দুটো যুবতী মেয়ে আছে। আমার স্ত্রীও প্রৌঢ়া নন | তোমার আক্কেল করে হবে ? দেখছো মর্ত্যে কি কান্ড হচ্ছে R. G. Kor-নিয়ে|”
মা দুর্গা শিবের দিকে কটমট করে তাকায়|
শিব বলে-” সরি”
যমরাজ – “অন্যায় হয়ে গেছে প্রভু, ক্ষমা- ক্ষমা ভিক্ষা করছি।”
গনেশ-” নন্দী-দা- কৈলাশে কোথায় ঘুরছে ঐ সাংবাদিক খুঁজে নিয়ে এসো তো|ওর কাছে কিছু আপডেট থাকতে পারে|”
নন্দী চলে যায়। এদিক সেদিক ঘুরে দেখতে পায় একটা প্যাঁকাটি মার্কা ছেলে হেঁট হয়ে পায়ের তলা দিয়ে ক্যামেরা ধরে ফোটো তুলছে |নন্দী তো অবাক এ আবার কেমন ধারা ফটো তোলা,বাবার জন্মে এখে নি।
যাইহোক, নন্দী হাঁক দেয়,-” ও-হে পাটকাঠি, শুনছ, ভেতরে তোমার তলব পড়েছে। চলো, তাড়াতাড়ি।”
সাংবাদিক ছেলেটির, নাকের ডগায় চশমাটা নেমে এসেছিল। সেটাকে তুলে নন্দীর দিকে তাকিয়ে বলে,-” Who are you!”
নন্দী নাক মুখ ভেংচি কেটে বলে,-” আ-মলো যা; কথার ছিরি দেখো। তোমায় বাবা ডেকেছেন। চলো।”
সাংবাদিক ছলেটি বলে,-” বাবা – I mean- মহাদেব| ঠিক আছে চলো| কিন্তু তোমার নাম কি?”
নন্দী বলে-”আমার নাম নন্দীশ্বর -বাবার চ্যালা।”
দুজন-এ, খোলা পাহাড় ছেড়ে গুহায় ঢোকে। সাংবাদিক ছেলেট গুহা দেখে বলে-” How sweet”
ভিতরে যেতে সবাই কে দেখে সাংবাদিক বলে-“হ্যালো, গনেশ বাবু। হ্যালে। কার্তিক বাবু How are you?”
আগে বাবা ভোলে নাথ প্রশ্ন করেন-” তোমার নাম কী? শুদ্ধ বাংলায় বলো”
সাংবাদিক বলে -”আমার নাম বাবা……”
“তোমার নাম বাবা; সে কি নাম !” ভোলেবাবার প্রশ্ন
“আজ্ঞে না ভোলে বাবা। -আমার নাম সত্যশরণ সাঁপুই”
“ও:এজন্য চেহারা অমন শরু শরু, অত ‘স’ এর বাহার নামের মধ্যে | থাক- ও সব কথা। তুমি বলোতো বাপু এখানে এলে কিভাবে এই জীবন্ত অবস্থায়?”
” আজ্ঞে আমি তো আসি নি নিজে। এই যমmilk রা আমায় এনেছে।”
-“যমmilk – মানে? কি বলছো?” প্রশ্ন করেন নারায়ন।
সাংবাদিক বলে-” এই যে যম-দুধরা এদের কাজ।”
কার্ত্তিক প্রশ্ন করে, -” কি ব্যাপার সত্যশরণ, তোমার গায়ে কি বিদেশী রক্ত বইছে? নাহলে স্বর্গে এসে তুমি ইংরেজি বল |”
সাংবাদিক -”কেন আপনারা খুশি হন নি?”
গনেশ – “ভুলে যেও না এটা স্বর্গ। তোমার আমেরিকা নয় |”
একটু থেমে গনেশ বলে,- “তোমার কি পুন্য আছে যে একেবারে কৈলাশে এলে?”
“কেন? আমি সত্যবাদী । Always সত্যর ভাষণ দি| নামেও সত্য কাজেও সত্য| আর সততার মতন পুন্য আর কিছুতে নেই।” হেসে বলে সত্যশরণ |
কার্ত্তিক বলে,-” যাক বাজে কথা। তুমি এখানে ভালো হয়ে বসে, মর্ত্যের আপডেট সব বলো তো |”
তাড়াতাড়ি লক্ষীদেবী বলেন -”আচ্ছা মর্ত্যে পুজোর তোড়জোড় চলছে কি? আর বনলতা শাড়ি উঠেছে কি? “
জোরে বলেন লক্ষীদেবী দুর্গাকে উদ্দেশ করে-“মা-ওমা এবারে মর্ত্যে আমায় ফ্যাসানদার বনলতা শাড়ি কিনে দিও।”
সরস্বতী দেবী বলে “শুধু শারী নয় ওর সঙ্গে ভালো জিন্স চাই আর টপ ডিসাইনার|”
গনেশ বলে- “ব্যাশ হয়ে গেল- ওদের জন্য আমি সত্যশরণকে ডেকেছি |আমি র জি কর এর আপডেট চাইছি, শুনবো| যদি পারি তো এখানেও মিছিল করবো|”
– “আ-হা-হা- না এখানে নয়। সে মর্ত্যের মানুষরা কী জানতে পারবে? না শুনতে পারবে। ,-” তার চেয়ে আপনারা যখন যাবেন তখন করবেন।” বলে সত্যশরণ
মহাদেব-“হা একদম ঠিক কথা যখন তোমরা মরতে যাবে তখন তোমরা এই অন্যায় এর সুবিচার করে এসো”
নারায়ন- “তোমরা বুঝতে পারছো না কেন? তিলোত্তমা কে যারা মেরেছে তাদের পাপ-এর জন্য তো সবাই প্রায়শ্চিত্ত করছে , মিছিল করে, ধর্ণা দিয়ে। তবুও যদি পাপীরা ধরা স্বেচ্ছায় দেয়, তবে একটু পাপ এর স্খলন হবে| নইলে পারদের মতন বেড়ে যাবে। যত বয়স বাড়বে ততই মনোকষ্ট, পাপবোধ বেড়ে যাবে।। তাতে হয়তো অনেকে মানসিক রোগী হবে, না হয় অপঘাতে মরণ হবে। দেবদেবীগণ তা পারেন না| যারা মিটিং মিছিল করে দোষীদের শাস্তি দিতে চাইছে মনের কষ্ট থেকে : দোষীদের ধরিয়ে দিয়ে তোমরা সাহায্য করতে পারো| ওদেরকে সহানুভূতি জানাতে পারো, তার বেশী নয়। মানুষ যা খুশী চায় করতে পারে, কিন্তু আমরা তা করতে পারে না। আমরা পাপও করতে পারি না পুন্যিও করতে পারি না। আমরা ধর্ম পথে থাকতে পারি”
গণেশ মাথা নাড়ে। বলে,-“ঠিক-ঠিক।”
কার্ত্তিক বলে,-” ঠিক আছে সত্যশরণ, আপডেট দাও।”
সাংবাদিক- ” আমি, আপডেট কি দেব সেই তো ‘নবান্ন ঘেরাও করো’ দিন থেকে মর্ত্যে অনুপস্থিত। এখানেই পড়ে আছি। শুধু যমরাজের মিটিং হচ্ছে। আমার নিয়ে কি করবে? কোথায় নিয়ে যাবে? আমি নিজেই জানি -না। “
একটু থেমে আবার বলে,-” আপনাদের তবু সুবিধা আছে। কপালে একটা ঝং করে আলো জ্বলে উঠল, আর হাত নাড়তেই টিভির কথা সব দেখতে পান। তাই দেখে জেনে নিন| আর আমায় বলুন আমিও আপডেট জেনে নি।”
-“ও আমার সোনার চাঁদ, তুমি এখানে থেকে দেবতাদের কলাকৌশল জেনে গিয়ে মর্ত্যে প্রচার করো।” মা দূর্গা ফোঁস করে ওঠে।
মহাদেব-” আঃ দেবী, তুমি মাথা গরম করো না। এখুনি প্রেসার বেড়ে যাবে।”
সাংবাদিক -” না না মা, আপনি রাগ করবেন না। আপনি রাগ করলে আমার দুর্গতির শেষ থাকবে না।”
সরস্বতী – ” তবে কেন আজে বাজে কথা বলছো। ঠিক আছে “আপডেট দিতে না পারো আগামী প্ল্যান কি আছে তাই বলো।”
সাংবাদিক- “হ্যাঁ এই একটা কথা বলেছেন, সত্যিই আপনার মাথায় কত বুদ্ধি সরস্বতীদিদি |”
সরস্বতী -” কি কি বললে?”
সাংবাদিক -” না কিছু বলিনি, আপনি আবার রাগ করলে আমার মাথার আবার বুদ্ধি লোপ পেয়ে যাবে। আপনি মা নন বলেই মা-বলি নি।”
গনেশ -” বড্ড বাজে বকো | বলো তোমার প্ল্যান কি?”
সাংবাদিক -” না- মানে বলছি-লাম, শুধু মর্ত্যে গিয়ে যদি জানতে পারি যে দোষীদের মানে খুনীদের
ধরতে পারে নি বা এই ষড়যন্ত্রে কে কে আছে জানতে পারে নি তবে ঐ তিলোত্তমা কে প্ল্যান-চেট করে ডেকে এনে সব জেনে থেকে।”
গনেশ,কার্ত্তিক, লক্ষ্মী সবাই-হা-হা-হা করে হেলে ওঠে। সাংবাদিক ‘থ’ মেরে যায়।
মহাদেব-“তুমি কি বললে, কি চেট করবে।”
সাংবাদিক -”আজ্ঞে প্ল্যান-চেট|”
হাসি থামিয়ে কার্ত্তিক বলে,-” জানি-তা-তুমি ঐ মৃত মেয়েটির আত্মাকে ডাকবে। সে এসো তোমায় সব বলবে? হা- হা-হা”
মাথা চুলকিয়ে সাংবাদিক বলে,-” না- মানে, আমি যারা এসব করে তাদের – আর কি..।”
অনেকক্ষন থেকে যমরাজ উস খুশ করছে কথা বলতে ভরসা পাচ্ছে না সুযোগ বুঝে বলেই
ফেলে।
” তাহলে ওকে মর্ত্যে পাঠিয়ে দি?”
মহাদেব- “হ্যাঁ-হ্যাঁ। ওকে এখানে রেখে কোন লাভ নেই কিছুই জানে না যখন….”
মহাদেবের কথা থামিয়ে দিয়ে সাংবাদিক বলে,-” আজ্ঞে না, জানি একটু সুযোগ দিন বলছি।”
গনেশ-“তাহলে এতক্ষণ ধানাই-পালাই করছিলে কেন বল?”
সাংবাদিক-” আজ্ঞে অনেক কিছু রহস্য তো আছে, তাই কিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। বলছি, জুনিয়ার ডাক্তাররা সবাই লালবাজার অভিযান করবে। ধরুন সেদিন একটু গোল্ডগোল হবে | আবার নাও হতে পারে, কারণ তাঁরা তো ডাক্তার মানুষ।”
কার্ত্তিক-”কেন লালবাজার কেন যাবে?”
-” সবই তো তো জানেন দাদা। তবু আমার ওপর হামলা করছেন।” বলে সাংবাদিক
গনেশ -”আরে হামলা কি করলাম। মর্ত্যের ভাষাএখানে এই স্বর্গ রাজ্যে চলবে না|”
সাংবাদিক-”ওরা যাবেন,বিনীত গোয়েল মানে CP কে গ্রেপ্তারের বা-পদত্যাগের দাবীতে |এর পরের দিন তো সন্দিপ ঘোষ আরেস্ট হলেন,তাও তো জানেন, তাই না| তবুও আমায় আটকে রেখে….”
মুখ কাচুমাচু করে থেমে যায় সাংবাদিক |
এতক্ষন নারায়ন চুপ করে ছিলেন। এবার বললেন,-“ওহে যমরাজ,এই সাংবাদিককে মর্ত্যে ছেড়ে এস| এখানে আর নয়”
“যা হুকুম প্রভু।” বলেই যমরাজ সাংবাদিককে নিয়ে যাবার উপক্রম করতেই,মা
দূর্গা বলেন,-” আহা-এতক্ষন ছেলেটা কথা বলল, ওকে একটু জলটল খেতে দেওয়া হল না | যাও তো নন্দী কিছু ফল মিষ্টি ওকে দাও তো”
নন্দী- “দিচ্ছি মা| এই এসো আমার সাথে। ” বলেই সাংবাদিককে ভেতরে নিয়ে গেল|
মহাদেব বললেন,-“দেখ ছেলেরা ও মেয়েরা তোমরা তো একমাস বাদেই যাবে তখন গিয়ে সব জেনো শুনো। এখন অযথা সময় নষ্ট না করে ছেলেটিকে আটকে রেখো না। ওর বড়িতেও চিন্তা করছে।
দাও ওকে ছেড়ে দাও।”
সবাই – “অগত্যা “”
গণেশ -”আরে- আইডিয়া”
গনেশ – “আমি তো গনেশ চতুর্থীতে তো যাচ্ছি। তখন নয় সব খবর নিয়ে আসবো। তার পর তো বিশ্বকর্মাকাকু যাবেন তিনিও খবর পাবেন কিছুটা।”
Audio Story Starts From Here:
Story Info | Name |
---|---|
Writer | Kaberi Ghosh |
Intro & Ending | Debanshu Ghosh |
Kathak | Sourodip Roy |
Characters | Name |
---|---|
Durga | Olivia Das |
Mahadeb | Joydeep Lahiri |
Narayan | Joydeep Lahiri |
Jomraj | Sumen Sadhukhan |
Ganesh | Debanshu Ghosh |
Swaraswati | Priyanka Dutta |
Laxmi | Susmita Ghosh Das |
Kartik | Soumik Banerjee |
Sangbadik | Surojit Mukherjee |
Nondi | Debanshu Ghosh |
Others Characters | Olivia, Priyanka, Joydeep, Soumik |
Find us on Facebook – click here