মোহিনী
Views: 7
মোহিনী:
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা হাওড়া স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেলে উঠে বসল পঞ্চপান্ডব।পঞ্চপান্ডবকে মনে আছে তো?? সেই পাঁচ বন্ধু অর্থাৎ গোরা, সূর্য, তাপস, সজল, কাজল। সবাই গাড়িতে উঠে যে যার ব্যাগ গুছিয়ে রেখে সিট খুঁজে বসলো। এতক্ষণ ধরে সজল মুখ হাঁড়ি করে বসেছিল একটা কথাও বলেনি,এবার রাগ প্রকাশ করে বলল,
-“দেখ গোরা সেই বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এলি সারপ্রাইজ দিবি বলে, কি সারপ্রাইজ শুনি?”
তাপস বলল,
-“ আমরা কোথায় যাচ্ছি জানিস?”
-“কি করে জানব ও কিছু বলেছে নাকি? সামনে আমার পরীক্ষা। কাল বাড়িতে গিয়ে মাকে বাবাকে বলে আজ আমায় নিয়ে চলে এলো।”
গোরা হাসছে আর বলছে,
“ আরে আমরা বেড়াতে যাচ্ছি তোকে বললে তুই তো যেতিস না, তাই কিছু বলিনি।”
-“আরে বাবা সামনে আমার পরীক্ষা।”
“-আরে ধুর! তোর পরীক্ষা এখনো তিন মাস বাকি।”
-“কিন্তু….”
সজল কি বলার চেষ্টা করে।
সূর্য বলে,
-“আমরা কোনদিন একা একা কোথাও গেছি ! একটা সুযোগ এলো,তাই তৎকাল টিকিট কেটে এবার পাড়ি দিচ্ছি পাহাড়পুর!!
-“পাহাড়পুর সেটা আবার কোথায়? আর কে এমন সুযোগ দিল?”প্রশ্ন করে সজল।
হাসতে হাসতে সূর্য বলে,
-“আছে! আছে! তোদের মনে আছে; কলেজে পড়ার সময় বিমলকান্তিকে মনে আছে? সেই সুন্দর মতন। গাড়ি চড়ে আসতো। বলতো আমি জমিদারের ছেলে; আমাদের জমিদারি আছে। আমার বাবা একজন জমিদার।মনে আছে?”
তাপস বলল,
-“হ্যাঁ মনে আছে। সেকেন্ড ইয়ারে পড়তে পড়তে; বাবা মারা যেতে কলেজ ছেড়ে চলে গেল। তারপর পরের বছর ওর বিয়েতে নিমন্ত্রণ করল। বলল গোরা। আমরা সবাই গেলাম; আমরাই ওর বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম।”
কাজল বলল,
-“মাঝে মাঝে তো ফোন করতো। এখন আর তেমন করে না। তা তার কথা আসছে কেন?”
হেসে গোরা বলল,
-“আরে ওই তো এতদিন পর আমাকে আর সূর্যকে ফোনে নিমন্ত্রণ করেছে। আমাদের সবাইকে ওর ওই পাহাড়পুরের স্টেটে যেতে বলেছে। ও এখন ওখানেই আছে; ভারী সুন্দর জায়গা। জলপাইগুড়ির এক বর্ধিষ্ণু গ্রাম। একটা বড়ো টিলার ওপর ওর ওই জমিদার বাড়ি। চারিদিকে দেবদারু পাইন আর ইউক্যালিপটাসের ঘন বন।”
-“সে তো বুঝলাম। কিন্তু কেন? কোন অনুষ্ঠান আছে?” প্রশ্ন করে সজল।
গোরা বলল,
-“আরে বাবা না! না! বেড়াতে বেড়াতে।”
তাপস বলল,
-“হ্যাঁরে গোরা কিভাবে যাব বলে দিয়েছে। নাকি কোনো লোক থাকবে স্টেশনে?”
-“হ্যাঁ সে বলে দিয়েছে। আর স্টেশনে ওর লোক থাকবে, আমি ফোন করে দিয়েছি।নিউ জলপাইগুড়িতে নেমে আবার ট্রেন পাল্টাতে হবে ওদের পাহাড় যাবার।”
নিউ জলপাইগুড়িতে নেমে ট্রেন পাল্টিয়ে অন্য ট্রেনে উঠে পরের দিন বিকাল হয়ে গেল। যে ট্রেনে উঠলো সেটা লোকাল ট্রেন। বেশ ফাঁকা; একজন দুজন লোক আছে কামরায়। অক্টোবরের শেষ। সবে পুজো শেষ হয়েছে পড়ন্ত বিকেলে ট্রেনের মধ্যে যে একটা হালকা অন্ধকারের পরিবেশ তৈরি হয়েছে; ট্রেনের কামরার টিমটিমে আলোয় সেই অন্ধকার দূর হয় না। ট্রেন লাইনের দুপাশে ছোট বড় আগাছার জঙ্গল। দূরে দূরে ছোট ছোট পাহাড় চোখে পড়ছে। সূর্যদেব পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে। গাড়িটা ঝাকুনি দিয়ে সেকেন্ড কয়েক মতো দাঁড়িয়ে পড়ে। আবার চলতে শুরু করে, নিজের গতিতে। তাপসের হটাৎ চোখে পরে ট্রেনের গেটের কাছে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে । এতক্ষণ তো মেয়েটিকে চোখে পড়েনি? কোথা থেকে এলো? নাকি প্রথম থেকেই ছিল, ওদের চোখে পড়েনি। ইশারায় তাপস গোরাকে দেখায়।সবাই তখন তাকায় গেটের দিকে।
তাপসই বলে ওঠে,
-“এই যে শুনছেন জায়গা খালি আছে; এসে বসতে পারেন।”
মেয়েটি একবার ফিরে তাকায়, তার পরনে ঘাগড়া, মাথায় ওড়না তোলা। লম্বা চুলের গোছা এক পাশে বুকের ওপর পড়েছে। পায়ে পায়ে এসে খালি সিটে মেয়েটি বসলো। মুখের একপাশে ওড়না আর একপাশে চুল দিয়ে ঢাকা মেয়েটির। ঠিক বোঝা যাচ্ছেlনা তবে আবছা আলোয় যেটুকু দেখা যায় মেয়েটি সুন্দরী। হঠাৎ মেয়েটি এক ঝলক হেসে সূর্যকে প্রশ্ন করে,
-“আপনারা বোধহয় পাহাড়পুর যাচ্ছেন?”
সূর্য বলে,
-“আজ্ঞে হ্যাঁ আমার এক বন্ধুর বাড়ি।”
-“আমিও পাহাড়পুর যাচ্ছি।” বলে মেয়েটি।
গোরা বলল,
-“আপনার বাড়ি কি ওখানেই?”
মেয়েটি বলল.
-“হ্যাঁ আমার বাড়ি ওখানেই।”
একটু থেমে আবার বলল,
-“আপনারা কার বাড়ি যাচ্ছেন?”
-“জমিদার বিমল কান্তিভূষণ উনি আমাদের কলেজের বন্ধু। উনি আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেনবলে।” সূর্য বলল।
-“ও তাই বুঝি ? উনি আমার দাদা হন। উনি আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন?”মেয়েটি বলে।
সূর্য আবার বলে,
-“হ্যাঁ ভালো জায়গা,সুন্দর জায়গা,তাই আমাদের বেড়াতে যেতে বলেছে।”
-“হ্যাঁ খুব সুন্দর জায়গা। আমার খুব প্রিয় ছিল জায়গাটা।” বলেই থেমে যায় মেয়েটি।
-“তার মানে ছিল বলছেন কেন? আপনি এখন থাকেন না ?” প্রশ্ন করে গোরা।
মেয়েটি এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলে,
-“পরিচয় হলো কিন্তু নাম বলা হলো না; আমার নাম মোহিনী।”
সূর্য,গোরা,তাপস, সজল, কাজল একে একে নিজের নাম বলে।মেয়েটি উঠে দাঁড়ায়; বলে,
-“আমি চলি।পাহাড়পুর স্টেশন এসে গেছে।”
সূর্যদের চমক ফিরতেই জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে সত্যিই স্টেশনে গাড়ি ঢুকছে। ওরা ব্যস্ত হয়ে; যে যার ব্যাগ নিয়ে গেটের কাছে এসে দেখে মেয়েটি নেই। বুঝতে পারে না ওরা। স্টেশন চত্বরে এদিক ওদিক তাকায়। না কোথাও নেই! স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে ওরা, সেখানেও মেয়েটাকে দেখতে পায়না; চারিদিকে বেশ অন্ধকার হয়ে গেছে। ট্রেন থেকে বেশি লোক নামেনি। হাতেগোনা কয়েকজন। এই লাইনে এই শেষ ট্রেন। বাইরে বেরিয়ে এসে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে পাঁচবন্ধু ।বিমল বলেছিল ড্রাইভার যাবে ওদের আনতে স্টেশনে। আলোর ব্যবস্থা খুব ভালো নেই।
যাইহোক আলো আঁধারিতে হঠাৎ একজন লোক এসে বলে,
-“আপনারা কি কলকাতা থেকে আসছেন?”
-“হ্যাঁ আমরা কলকাতা থেকে আসছি।” সূর্য বলে।
-“আসুন। আমি জমিদারবাবুর গাড়ির ড্রাইভার। গাড়ি একটু দূরে আছে।”
বলে লোকটি এগিয়ে চলল। ওরাও ডাইভারের পিছন পিছন বেরিয়ে এলো।বাইরে বেশ আবছায়া অন্ধকার। রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা নেই। যাইহোক আধঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গেল জমিদার বাড়িতে। যথারীতি 5 বন্ধুর অভ্যর্থনা, কুশল বিনিময় তারপর আদর আপ্যায়ন মিটে ওরা ফ্রেশ হয়ে, বসার ঘরে যখন বসল;তখন প্রায় রাত আটটা বেজে গেছে।
বাইরে অন্ধকার।জমিদার বাড়িতে আলো আছে। পাখা,এসি সব আছে। তারপর নানান গল্প আরম্ভ হলো। জমিদারের বন্ধু, তার স্ত্রী আর একটা পাঁচ বছরের ফুটফুটে ছেলে নিয়ে সংসার। চাকর দাসদাসী সে তো থাকবেই। বন্ধু বিমলকান্তি যখন গল্প করছে তখন কথায় কথায় জানা গেল তার মা গত তিন বছর হলো মারা গেছেন। আর কেউ নেই। কথাটা শুনে সূর্যের মনটা খচখচ করে ওঠে। মানেটা কি?ট্রেনে যে ভদ্রমহিলা বললেন তিনি বিমলকান্তির বোন?তবে? গোড়া আর চুপ করে থাকতে পারে না বলে ফেলে,
-“আর তোর বোন? তিনি থাকেন না? চমকে বিমলকান্তি তরাং করে উঠে দাঁড়ায়,
-“মানে তোরা কি করে জানলি? আমার বোন আছে?
তাপস তখন বিমলকান্তিকে ট্রেনের সব ঘটনাটা বলে,
-“আমাদের সাথে দেখা হয়েছিল। উনি নিজে আমাদেরকে ওনার পরিচয় দিলেন।
সূর্য বলে,
-“আমার মনে হলো উনি যেন কিছু বলতে চাইছেন কিন্তু পারলেন না।”
চেয়ারে বসে পড়ে বিমলকান্তি। তারপর মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে। বুঝতে পারে না পাঁচ বন্ধু; হকচকিয়ে প্রশ্ন করে,
-“কি হল?
অনেকক্ষণ পর বিমলকান্তি একটু শান্ত হল। নিজেই চোখ মুখ মুছে বলল,
-“সরি। একটু ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। কিছু মনে করো না।”
অবাক হয়ে সূর্য বলে,
-“না ঠিক আছে কিন্তু তোমার হঠাৎ কি হল?”
একটু চুপ করে থেকে বিমল কান্তি বলল,
-“‘ও আমার বড় আদরের বোন ছিল। গত বছর সুইসাইড করে মারা গেছে।”
চমকাবার পালা এবার পাঁচ বন্ধুর সবাই আঁতকে ওঠে; মুখ দিয়ে একটা শব্দই বের হয়,
-“অ্যাঁ!”
কাজল বিড় বিড় করে বলে ওঠে
-“মানে? অতক্ষণ ট্রেনে আমরা ভূতের সাথে কথা বলছিলাম।”
অনেকক্ষণ চুপচাপ থাকার পর সূর্যই প্রশ্ন করে,
-“আপত্তি যদি না থাকেন তো ব্যাপারটা কি বলতে পারিস।”
একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বিমল কান্তি বলে,
-“আপত্তি আর কি। আমাদের এখানে মাইল খানেক দুরে একটা মেলা হয়। শিবরাত্রির দিন বসে। প্রায় এক মাস চলে। বছর চারেক আগের কথা; তখন মোহিনীর বয়স মাত্র ১৭ বছর।আমার মা ও বেঁচে ছিলেন। আমরা সবাই মেলা দেখতে গেলাম।মেলায় চুরির দোকানে গিয়ে চুরি কিনে পড়ল। সেই হলো কাল।” চুপ করে যায় বিমলকান্তি।
গোরা বলে,
-“মানে? কি হয়েছিল?”
বিমলকান্তি বলে,
-“চুরি যে ছেলেটি পড়াচ্ছিল; তার বয়স কুড়ি-একুশ হবে। দেখতে খুব সুন্দর ছিল। বি.এ. পড়ছিল। সংসারে অভাবের জন্য চুরির দোকান দিয়েছিল। জাতিতে মুসলমান। আমার বোন তার প্রেমে পড়ে।”
তাপস বলল,
-“তারপর নিশ্চয়ই তোমরা মাননি?”
বিমলকান্তি বলে,
-“প্রথম প্রথম জানতে পারিনি। যখন জানলাম তখন মাস ছয়েক হয়ে গেছে। সত্যি মেনে নেওয়া দুষ্কর ছিল। বছর দুই পর মা মারা গেলেন। মরবার সময় মা আমায় বলেছিলেন যাতে ওই ছেলেটির সাথে আমি মোহিনীর বিয়ে না দিই।আমি মাকে কথা দিয়েছিলাম।”
সূর্য বলে,
-“বড় ভুল করেছিলি। তারপর?”
বিমল বলে,
-“হ্যাঁ এখন বুঝতে পারছি। কলকাতায় আমার ব্যবসা, বেশিরভাগ ওখানেই থাকি। মাঝে মাঝে আসি স্টেটের কাজকর্ম দেখতে।তাই ভাবলাম মোহিনীকে নিয়ে কলকাতায় যাই। আমরা থাকবো না! মোহিনী একা এখানে কি করে থাকবে? মাও নেই। সেই ভেবে ওকে বললাম, ও কিছুতেই যাবে না। এ বাড়ি ছেড়ে ও কোথাও যাবে না; তাই জোর করে মিথ্যে বলে ভুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আর তাতেই বিপত্তি….।”
বলতে বলতে থেমে যায় বিমলকান্তি।
-“বিপত্তি মানে? কি হলো?” প্রশ্ন করে গোরা।
বিমল বলে,
-“কাঁদতে কাঁদতে চলতি ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিল মোহিনী।”
মুখ ঢেকে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে বিমল। বড় আদরের ছিল তার বোন। আর তার এমন অকাল মৃত্যু সহ্য করতে পারছ না বেচারা।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে সূর্য বলে,
-“তুই যে ঠিক করেছিস এখানকার সম্পত্তি বেচে দিয়ে কলকাতায় চলে যাবি তা বোধ হয় ও চায়না সে কারণে ট্রেনে আমাদের দেখা দিয়ে বলতে এসেছিল আমরা যাতে তোকে বাধা দিই বা বারন করি এবারের মায়া ও ছাড়তে পারবে না।”
-“তাহলে উপায়?”
অসহায়ের মতো প্রশ্ন করে বিমল কান্তি। কিছু ভেবে সূর্য বলে,
-“আমি একটা উপায় বলতে পারি। উপায় শুনে কি করবি সেটা তোর ব্যাপার।”
-“কি?কি? বল।”
আগ্রহ ভরে বলে বিমলকান্তি।
সূর্য বলে,
-“দেখ এই জায়গাটা খুবই মনোরম। স্বাস্থ্য সম্মত,বেড়ানোর খোরাক প্রচুর আছে। তাই তুই এটা বিক্রি না করে হোটেল কর। দেখবি লোক আসবে। পর্যটনকেন্দ্র হয়ে থাকবে। নাম দিবি মোহিনী। আর সবার আগে গয়ায় গিয়ে মোহিনীর নামে পিণ্ডদান করে ভালোভাবে শ্রাদ্ধ শান্তি করে আয়; যাতে ওর আত্মার সদগতি হয়। দেখবি মোহিনী যেখানেই থাকুক খুব খুশি হবে। ওর আত্মা শান্তি পাবে। ওর এই সাধের বাড়িও বিক্রি হবে না।”
-“ঠিক বলেছিস সূর্য, সত্যি আমি এতটা ভাবিনি।অনেক ধন্যবাদ তোকে; সত্যি তুই বন্ধুর মতন উপদেশ দিলি।”
হাসতে হাসতে বলতে থাকে সবাই,
-“তোরও ব্যবসা বেড়ে গেল। হা হা হা।”
বিমলকান্তি বলে,
-“চল সবাই রাত হলো ডিনার সেরে নিই।”
সবাই উঠে দাঁড়ায়।খাবার ঘরে যেতে গিয়ে চাঁদের আলোয় বারান্দায় চোখ যায় সবার। আবছা আলোয় সবাই দেখতে পায় মোহিনী দাঁড়িয়ে তাদের দিকে চেয়ে আছে এবং তার মুখে এক পরিতৃপ্তির হাসি। সবাই থমকে দাঁড়ায়। এরপর চোখের নিমেষে মোহিনী আস্তে আস্তে নিচে নেমে অদৃশ্য হয়ে যায়।
Audio Story Starts From Here:
Story Info | Name |
---|---|
Writer | Kaberi Ghosh |
Intro & Ending | Debanshu Ghosh |
Kathak | Olivia Das |
Characters | Name |
---|---|
Mohini | Priyanka Dutta |
Surjo | Debanshu Ghosh |
Gora | Soumik Banerjee |
Taposh | Joydeep Lahiri |
Kajol | Surojit Das |
Sajol | Surojit Mukherjee |
Driver | Joydeep Lahiri |
Bimalkanti | Debanshu Ghosh |
Find us on Facebook – click here