সদানন্দের ইন্টারভিউ

Views: 0
সদানন্দের ইন্টারভিউ:
সদানন্দ দাস। বয়স ৩২/৩৫ হবে। ঢাকায় অর্থাৎ বাংলাদেশে সব সম্পত্তি বাড়ি বিক্রয় করে দিয়ে। এ দেশে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের সাৎরাগাছি অঞ্চলে পিসি সৌদামিনী মন্ডল-এর আশ্রমে মানে বাড়িতে থাকে। তিন কুলে মানে বাবা-মা-ভাই-বোন কেউ নেই।
এই সাঁৎরাগাছিতে এসেছে তা বছর তিনেক হয়ে গেল। চাকরীর চেষ্টায় আছে। বিদ্যে ক্লাস নাইন কি টেন তাকেউ জানে না। যা ওর কাছ থেকে শোনা। তবে বড় রসিক মানুষ। নিজেও হাসে আর অপরকেও হাসায়। এ হেন মানুষকে কেু কেু ঠকাতে যায় কিন্তু দুঃখের বিষয় তারাই ঠকে আসে।
এই যে সদানন্দ চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে যায় তার একটাও সম্পূর্ণ হয় না। হয় তারাই ইন্টারভিউ নিতে ভুলে যান হাসতে হাসতে নয় বকতে বকতে ফেডাফ্ হয়ে যান। এবার বুঝতে পারছেন কেন সদানন্দর চাকরী হয় না। বন্ধুরা অন্য কাজ ফেলে ওর কাছে আসে গল্প করতে বা কথা বলতে। তার একটা নমুনা দিই।
একবার হয়েছেটা কি পিসে মশাইর জ্বর হয়েছে। অফিসে যেতে পারেনি। তাই দুটো বন্ধু এসেছে দেখতে। তারা সদানন্দকে জানে। তাই খোঁচা দিতে ছাড়ে না। বন্ধুরা আসতে সদানন্দ যথারীতি এক বন্ধু জিজ্ঞাসা করে – ‘‘তোমার পিসে মশাই বাড়িতে আছে?’’
সদানন্দ – ‘‘আরে কি কন্? জ্বর অবস্থায় আর কোথায় যাইবেন?’’
বন্ধু – ‘‘আরে সদানন্দ, তুমি বাঙাল্ নাকি?’’
সদানন্দ – ‘‘হ, আমি খোদ ঢাকাইয়ার পোলা।’’
বন্ধু অবজ্ঞা ভরে, – ‘‘ও, তুমি বাঙাল। জানতাম না।’’
সদানন্দর কান এড়ায় না অবজ্ঞার টানটা বলে, – ও মা তাই নাকি? আমি তো বাঙাল্, তা আপনি কি?’’
বন্ধু – ‘‘কেন আমি বাঙালী।’’
সদানন্দ – ‘‘এ হে কাম সেরেছে।’’ অবজ্ঞা ভরে এবার বলে সদানন্দ।
বন্ধু – ‘‘কেন – কেন বাঙালীরা তোমার কাছে কি দোষ করলো?’’
সদানন্দ – ‘‘না, না আমা গো কাছে কিছু করেন নাই। করেছেন, ব্যাকারণের কাছে।
বন্ধু – ‘‘মানে, তোমার কথার মানে বুঝলাম না।’’
সদানন্দ – ‘‘বুঝলেন না। ব্যাকারণে আমি হইলাম বাঙাল মানে পুং লিঙ্গ। আর আপনি হইলেন গিয়া বাঙালী স্ত্রী লিঙ্গ।’’ বুঝলেন কিনা।’’
বন্ধু বলে, হেসে – ‘‘আরে ধ্যাৎ,’’ হা হা করে সবাই হেসে ওঠে।
একবার সদানন্দ ইন্টারভিউ দিতে যাবে। ষ্টান্ড থেকে বাসে চেপেছে ১০ মিনিট হেঁটে গিয়ে। খালি বাসে শুয়ে যাবার জন্য। যথা সময়ে বাস ছাড়ার সময় এসে গেছে। বাস ভর্তিও হয়ে গেছে। বাস ছেড়ে দেবার পর ২/৩ জন যাত্রী ছুটে এসে বাসে চেপে দেখে সদানন্দ শুয়ে আছে। তখন ১ম যাত্রী বলল, – ‘‘ও-দাদা। উঠুন তো অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছেন। এবার উঠুন।’’ সদানন্দ পাশ ফিরে শুয়ে শুয়ে বলে, – ‘‘অহন না, আর একটু পরে।’’
২য় যাত্রী – ‘‘তার মানে – আমরা দাঁড়িয়ে যাবো। আর আপনি শুয়ে যাবেন? কেন? কোন দেশের নবাব আপনি?’’
শুয়ে শুয়েই সদানন্দ বলে, – ‘‘ঢাকাইয়া ঢাকাইর নবাব। কেন বাজে ফ্যাঁচর ফ্যাঁচর করতাছেন।’’
১ম যাত্রী – ‘‘ও আমার নবাব রে। নবাবরা রথে যায় আর আপনি বাসে যান কেন?’’
সদানন্দ – ‘‘আরে রথ না – রথ না হাতি।’’
৩য় যাত্রী হাসতে হাসতে – ‘‘হাঁ প্রাসাদের গেটে দুটো হাতি বাঁধা থাকে।’’
২য় যাত্রী – ‘‘হাতিত পোষার খরচ কত জানে।’’
সদানন্দ শুয়ে শুয়েই বলে, – ‘‘আরে দুটো হাতি না। দুটা হাতি গাছ আছে। নাড়া দিলাই ঝুর ঝুর কইরা হাতি পড়ে।’’
১ম যাত্রী – ‘‘তা কি খাওয়াও হাতি কে?’’
সদানন্দ – আরে দূর খাওয়াইতে লাগে না। কাম খতম হইলেই ভ্যানিস্ হইয়া যায়।’’
সবাই হেসে ওঠে হো হো করে। বলে, ২য় যাত্রী – ‘‘গুরু গুরু। তুমি শুয়েই চলো আরো কিছু বাতেলা ছাড়ো।’’
আর একবার সদানন্দ ইন্টারভিউ দিতে গেছে। সময় আছে বলে, এর তার সাথে কথা বলতে বলতে ঠিক ক্যানটিনে চলে গেছে। সেখানেও ভাব জমিয়ে দেখে সকালের তৈরী চা গরম করে খাওয়া হচ্ছে। সদানন্দ সেখানে গিয়েও চায়ে ভাগ বসালো। তারপর ১ ঘন্টা বাদে ইন্টারভিউ আরম্ভ হল।
আরো আধ ঘন্টা পরে সদানন্দের ডাক এল। ভেতরে গিয়ে সদানন্দ দেখে অফিসার কি লিখছে। সদানন্দ বলে, – ‘‘আইবো স্যার?’’ অফিসার মাথা তুলে বলেন, – ‘‘এসেই তো পড়েছেন, তা হলে জিজ্ঞাসা করছেন কেন?’’
– ‘‘ওটা হইল ভদ্রতা।’’ তারপর চেয়ার টেনে বসে সদানন্দ বলে, – ‘‘বইসা পড়ছি স্যার।’’ অফিসার বলে, ‘‘তা তো দেখতেই পাচ্ছি।’’ তারপর বেল টিপে বেয়ারে কে ডেকে বলেন, – ‘‘চা’’। মিনিট খানেকের মধ্যে চা এসে গেল।
অফিসার চায়ের কাপ যেই মুখের সামনে তুলে চুমুক দিয়েছেন। তো সদানন্দ চিৎকার করে বলে, – ‘‘স্যার – স্যার গজ – খাইতাছেন। গজ খাইতাছেন।’’
অফিসার চমক্ েবিষম টিষম খেয়ে কেশে একা কার কান্ড। কাশি থামিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে বলেন, – ‘‘মানে গজ খাচ্ছি। সেটা কি? হাতির দুধের চা এটা?’’
সদানন্দ বলে, – ‘‘না-না স্যার। হাতি – না, হাতি না।’
অফিসার – ‘‘তবে? গজ – কি?’’
সদানন্দ – ‘‘এই চাচ টা তিন বার ফুটাইছে। তাই।’’
অফিসার – ‘‘তা – কি হয়েছে?’’ বিরক্ত ভাবে বলেন।
সদানন্দ – ‘‘বুঝলেন না। ৩ ফুটে তো ১ গজ হয়। অঙ্ক শাস্ত্রে তো তাই কয়। ঐ লেইগা কইতে ছিলাম।’’ অফিসার হা হা করে হাসতে লাগলেন। হাসতে হাসতে বললেন – ‘‘যাও বাড়ি যাও। তোমায় কি ইন্টারভিউ নেবো ভুলে গেছি। আজ আর হবে না। আবার অন্য দিন আসবে।’’ হা-হা-হা
দু-তিন দিন পরে। সদর দরজায় কে বেল বাজাচ্ছে। সদানন্দ দরজা খুলে দেখে। পিসির ছেলে প্রকাশের একটা বন্ধু আর তার দাদা এসেছে। প্রকাশের বন্ধু বলে, – ভালো আছেঅ সদানন্দ দা?’’
– ‘‘হ ভালো আছি। কিছু কাম আছে?’’ বলে সদানন্দ।
প্রকাশের বন্ধু বলে – ‘‘প্রকাশের সঙ্গে দরকার আছে আমার দাদা এসেছে দেখা করবে।’’
সদানন্দ বলে, – ‘‘অ-আইয়ো। বইসো। আমি ডাক্তাছি।’’ বাড়ির ভিতর থেকে প্রকাশকে ডেকে সঙ্গে করে নিয়ে আসে সদানন্দ। বসার ঘরে ঢুকে প্রকাশ বলে, – ‘‘আরে পিন্টু। কি খবর? অনেক দিন এদিকে আসিস নি।’’
সবাই বসার পর সদানন্দ বলে, – ‘‘আপনারা বহেন। আমি চায়ের কথা কইয়া আসি।’’ বলে বাইরে গিয়ে চায়ের কথা বলে আবার এসে বসে পড়ে।
তখন পিন্টুর দাদা বলে, – ‘‘হ্যাঁ আগামী পরশু দিন আমার ছেলে অন্নপ্রাশন। সেই কাজ কর্মে পিন্টু একটু ব্যস্ত ছিল তাই এদিকে আসেনি।’’ বলে হাতের ব্যাগ খুলে একটা অন্নপ্রাশন কার্ড বার করে দাদা আবার বলে, – ‘‘সে তো ভালোই। তবে কি আগের মতন খাওয়াও নাই খাওনের লোকও নাই।’’
পিন্টুর দাদা বলে, – ‘‘ঠিক বলেছেন। সে রকম খাইয়ে লোক কোথায়। আগের দিনে এক একটা খাশি একাই খেতো একজনে। আর এখন সে খাইয়ে লোক নেই।’’
প্রকাশ – ‘‘ওরে বাবা কি করে খেতো?’’
দাদা – ‘‘কেন হজমীর ওষুধ খেয়ে।’’
প্রকাশ – ‘‘তাও হয়? এতো জোরালো ওষুধ?’’
দাদা – ‘‘তবে শোনো একটা ঘটনা বলি। আমরা ঠাকুরদাদার বাবা।’’ চা এসে গিয়েছে। সবাই চা নিল। প্রকাশ সদানন্দর দিকে তাকিয়ে চোক টিপে দিলো। বলল, – ‘‘বলুন দাদা।’’ পিন্টুর দাদা বলতে লাগলো – ‘‘হ্যাঁ, আমার ঠাকুর দাদার বাবা একবার একটা আস্ত খাসির মাংস খেয়েছিল। একটা নিমন্ত্রণ বাড়িতে। তারপর পেট তো আইঢাই করছে। তখনও অনেক খাবার পড়ে আশে। মাছ, মিষ্টি, পায়েস। সেগুলো খেতে হবে। কি করা যায়? তখন এক বৈদ্যর কাছে গিয়ে হজমীর অসুধ নিয়ে আসে। সেই একটা হজমী অষুধ খেয়ে ঠাকুরদার বাবা আধ ঘন্টার মধ্যে সব হজম করে আবার খেতে বসে।’’ সদানন্দর দিকে তাকিয়ে বলে পিন্টুর দাদা – ‘‘আছে আপনাদের দেশে এমন হজমী গুলি?’’
সদানন্দ আপনাদের দেশে এখন মুচকী হেসে বলে, – ‘‘তবে শুনেন। আমার ঠাকুরদার ঠাকুরদা। বয়স ৬০ কি ৭০ বছর, এই বিশাল চেহারা। ব্যায়াম করা শরীল কিনা। একবার হইছে কিনা, সেই ঠাকুরদার ঠাকুরদার পেট খারাপ হইছে। হজম হয় নাই। তখন বৈদ্যর কাছে থিকা হজমের ওষুধ আইল। ঠাকুরদার ঠাকুরদা রাত্রে হজমের ওষুধ খাইয়া ঘরে শুইল। আর কইল, কেউ তারে ডাকবা না। ঠিক আছে। সকাল হইল। ঠাকুরদার ঠাকুরদা আর ওঠে না – দরজা খোলে না। কি হইবো। ভাঙো দরজা। দরজা ভাইঙা সবাই দেখে যে বিছার ওপর শুধু নখ চুল পইরা আছে গোটা মানুষটাই হজম হইয়া গেছে গিয়া। বুঝলা কেমন হজমী।’’ পিন্টুর দাদা একদম হাঁ হয়ে গেছে। শেষে বলে, – ‘‘পায়ের ধুলো দাদা। তুমি গুরু দেব। আচ্ছা আজ চলি।’’ চলে যায়
কিছু দিন পর সদানন্দ কে ডেকে পিসে মশাই বলেন, যে তাঁর অফিসে সামনের রবিবার ইন্টারভিউ হবে। সদানন্দ যেন যায়। অফিসে বড় বাবুর কাছে সদানন্দর নাম দিয়ে এসেছে। যেখানে হোক চাকরী হবেই। পিসেমশাই এর ছেলে প্রকাশ থাকবে। ও-ও ইন্টারভিউ দেবে।
সামনের রবিবার বলতে আর দুদিন পরে। সেদিন অর্থাৎ রবিবার সদানন্দ গঙ্গা স্নান করে। পিসিমার পুজোর ফুল পকেটে নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে গেল। অফিসের পৌঁছোতে একটু দেরী হল। যেতেই সদানন্দকে প্রকাশ বলে, – ‘‘কিগো দাদা এত দেরী করলে কেন? অনেকক্ষণ আরম্ভ হয়ে গেছে। যাও-যাও তুমি ঘরের ভিতর যাও।’’
সদানন্দ বলে, – ‘‘হ্যাঁ রে, প্রশ্ন জিজ্ঞায় কি ইংলিশে?’’
প্রকাশ – ‘‘না গো ইংলিশে প্রশ্ন করছে না। ভয় নেই স্যার খুব ভাল।’’
সদানন্দ – ‘‘আচ্ছা তা হলে যাই গিয়ে। ভয় নাই তো?’’ প্রকাশ মাথা নাড়ে। সদানন্দ বলে, – ‘‘আইবো স্যার?’’
অফিসার – ‘‘’’
সদানন্দ – ‘‘খাই সে, এতো ইংলিশে কয়। আই সদান্নদ স্যার।’’
অফিসার – ‘‘ও আচ্ছা – আচ্ছা সদানন্দ। এস তোমার পিসে মশাই বলেছেন।
সদানন্দ গিয়ে একটা চেয়ারে বসে, বলে, – ‘‘ইয়েস স্যার।’’
অফিসার – ‘‘তুমি কোথায় চাকরী করতে চাও?’’
সদানন্দ – ‘‘যেখানে হোক্ স্যার।’’
অফিসার – ‘‘দেশে না বিদেশে।’’
সদানন্দ – ‘‘হ্যাঁ স্যার আমার কোন আপত্তি নাই।
অফিসার – ‘‘নিজের রাজ্যে না অন্য রাজ্যে।’’
একটু বিরক্ত হয়ে সদানন্দ বলে, – ‘‘সৌর জগতের যে কোন গ্রহে চাকরী দিলেই আমি করুম স্যার।’’
অফিসার – ‘‘ঠিক আছে। তোমায় যুদ্ধে চাকরী দিলাম।’’
সদানন্দ – ‘‘যুদ্ধো করতে হইবো স্যার?’’
অফিসার – ‘‘তা মাঝে মধ্যে হয়তো করতে হবে।’’
সদানন্দ – ‘‘যুদ্ধো করলে তো মরতে হইবো স্যার।’’
অফিসার – ‘‘হ্যাঁ যুদ্ধ হলে তো মরতে হবে।’’
সদানন্দ – ‘‘একটা কথা কই স্যার।’’
অফিসার – ‘‘হ্যাঁ বলো।’’
সদান – ‘‘বিদেশে যদি মরি তাহলে ল্যাঠা চুইকা গেল। আর যদি দেশে মরি তবে একটা কথা কমু।’’
অফিসার – ‘‘বলো কি কথা।’’
সদা – মইরা গেলে তো আমার বডি কোথা থুইবেন। মাটির ওপরে না মাটি তলায়?’’
অফিসার – ‘‘মাটির তলায়।’’
সদা – ‘‘তাহলে একটা কথা কই।’’ অফিসার – ‘‘হুঁ বলো।’’
সদা -ৃ ‘‘মইরা গেলে। মাটির তলায় তো কঙ্কাল হইয়া যামু। সে মাটি কিসে চাষ করবান। ট্রাক্টর না লাঙ্গুল দিয়া।
অফিসার – ‘‘ধরো ট্রাক্টরে।’’
সদা – ‘‘তা হইলে একটা কথা কই।
অফিসার – ‘‘বলো- বলো।’’ একটু বিরক্ত হয়ে বলেন।
সদা – ‘‘ট্রাক্টরে চাষ হইলে তো কঙ্কাল টুকরো টুকরো হইবো।
অফিসার – ‘‘হাঁ তো হবে।’’
সদা – ‘‘তা হইলে একটা কথা কই। সেই হাড় গুলারে কোথায় পাটাইবেন। ফার্টিলাইজারে নাকি কাগজের কলে।
অফিসার চেঁচিয়ে – ‘‘কাগজের কলে।’’
সদা – ‘‘তা হলে একটা কথা কই। কি কাগজ হইবো? হ্যান্ড রাইটিং পেপার না কি টিসু পেপার?’’
সদানন্দ – ‘‘ও পেপার তো মাইয়া লোকরা বেশী ব্যাবহার করে। না স্যার অমি ও কাম করুম না।’’
অফিসার চেয়ার ঢেলে ফেলে চিৎকার করে বলেন, – ‘‘তুমি চুলোয় যাও। তোমায় চাকরী দিতে পারবো না। আর তোমায়ও চাকরী করতে হবে না। বেরিয়ে যাও’’ বাইরে আসতে সদানন্দকে প্রকাশ জিজ্ঞাসা করে – ‘‘কি দাদা কিছু হল।’’ সদানন্দ বলে, – ‘‘আমার চাকরী হইবো না উনি বললেন।’’
Audio Story Starts From Here:
Story Info | Name |
---|---|
Writer | Kaberi Ghosh |
Intro & Ending | Debanshu Ghosh |
Kothak | Priyanka Dutta |
Characters | Name |
---|---|
Sodananda | Joydeep Lahiri |
Others | Debanshu Ghosh, Sumit Bari, Suman Sadhukhan |
Find us on Facebook – click here