শেষ ট্রেন
Views: 0
শেষ ট্রেন:
রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। হাওড়া স্টেশনে তখন লোকজনের ভিড় কমে এসেছে। দিনের ব্যস্ততা শেষ হয়ে এসেছে, এখন শুধু কয়েকজন বিলম্বিত যাত্রী আর স্টেশনের কর্মচারীরা ছাড়া আর কেউ নেই। প্ল্যাটফর্মগুলো প্রায় খালি, শুধু মাঝে মাঝে কয়েকজন ঘুমন্ত ভবঘুরে চোখে পড়ে।
অরূপ সেন তখন অফিস থেকে বেরিয়ে বাস করে স্টেশন এ পৌছে ট্রেন ধরার জন্য প্লাটফ্রম এর দিকে দ্রুত হাঁটছিলেন। তাঁর মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। সারাদিনের কাজের পর এখন শুধু বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার চিন্তা। কিন্তু তার আগে শেষ ট্রেনটা ধরতে হবে।
হন্তদন্ত হয়ে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে অরূপ দেখলেন, ট্রেন ইতিমধ্যেই এসে গেছে। তিনি দ্রুত একটা বগিতে উঠে পড়লেন। বগির ভেতরে ঢুকেই তিনি অবাক হয়ে গেলেন। পুরো বগিটা খালি, একজনও যাত্রী নেই।
অরূপ একটা সিটে বসে পড়লেন। ট্রেন চলতে শুরু করল। বাইরের আলো-আঁধারি দৃশ্য দ্রুত পেছনে সরে যেতে লাগল।
অরূপ জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ভাবছিলেন, “আজ সত্যিই অনেক দেরি হয়ে গেছে। বাড়িতে নিশ্চয়ই সবাই চিন্তা করছে। “
হঠাৎ করে অরূপের মনে হল, বগির ভেতরটা যেন আরও ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। তিনি চারপাশে তাকালেন। “বাইরে বৃষ্টিও হচ্ছে না। তবে এই ঠাণ্ডা কোথা থেকে আসছে?”
তখনই তাঁর চোখ পড়ল সামনের সিটের দিকে। অরূপের বুকের ভেতরটা ধক করে উঠল। সেখানে একজন মহিলা বসে আছেন। কিন্তু একটু আগেই তো বগিটা খালি ছিল! এই মহিলা কোথা থেকে এলেন?
মহিলাটি জানালার দিকে মুখ করে বসে ছিলেন। তাঁর পরনে একটা সাদা শাড়ি। চুল খোলা, পিঠের ওপর ছড়িয়ে আছে। অরূপ লক্ষ্য করলেন, মহিলার শরীরটা যেন একটু অস্বাভাবিক রকমের স্বচ্ছ।
অরূপের বুকের ধুকপুকুনি বেড়ে গেল। তিনি গলা পরিষ্কার করে বললেন, “ম্যাডাম, আপনি কোথায় যাবেন?”
মহিলাটি ধীরে ধীরে ঘাড় ঘুরিয়ে অরূপের দিকে তাকালেন। অরূপের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এল। মহিলার মুখটা ছিল একেবারে সাদা যেন রক্ত শুন্য, চোখ দুটো গভীর ও অস্বাভাবিক রকমের উজ্জ্বল।
মহিলাটি কোনো উত্তর দিলেন না। শুধু অরূপের দিকে তাকিয়ে রইলেন। অরূপের সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠল। তিনি বুঝতে পারলেন, এটা কোনো সাধারণ যাত্রী নয়।
অরূপ উঠে দাঁড়ালেন। তিনি অন্য বগিতে চলে যাওয়ার জন্য দরজার দিকে এগোলেন। কিন্তু ট্রেনটা দ্রুত গতিতে চলার জন্য অরূপ নামতে পারলো না.
ভয়ে অরূপের মুখ শুকিয়ে গেল। তিনি আবার পেছন ফিরে তাকালেন। মহিলাটি এখন উঠে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে।
অরূপ বুঝতে পারলেন, এখন তাঁর কিছু করার নেই। তিনি চোখ বন্ধ করে ঈশ্বরের নাম স্মরণ করতে লাগলেন।
মহিলাটি ধীরে ধীরে অরূপের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন। অরূপের সারা শরীর কাঁপছিল। তিনি জানতেন, এই মুহূর্তে তাঁর জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।
ঠিক তখনই ট্রেনটা একটা স্টেশনে এসে থামল। অরূপ বগি থেকে বেরিয়ে এলেন। তিনি পেছন ফিরে তাকালেন। মহিলাটি তখনও সেই বগিতে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর দিকে তাকিয়ে।
অরূপ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে থাকলেন। ট্রেনটা আবার চলতে শুরু করল। সেই বগির জানালা দিয়ে অরূপ দেখলেন, মহিলাটি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছেন।
ট্রেনটা চলে গেল। অরূপ তখনও কাঁপছিলেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন না, এই মাত্র কী ঘটল। তাঁর মনে হচ্ছিল, যেন একটা দুঃস্বপ্ন দেখলেন।
কিছুক্ষণ পর অরূপের যখন হুস ফিরল,তিনি দেখলেন তিনি তার গন্তব্য স্টেশনেই নেমেছেন তিনি ধীরে ধীরে স্টেশন থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।
পরের দিন সকালে অরূপ যখন অফিসে গেলেন, তখন তাঁর সহকর্মীরা লক্ষ্য করলেন, তিনি অন্যমনস্ক হয়ে আছেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে তিনি শুধু বলছিলেন, “রাতে ভাল ঘুম হয়নি।’
কিন্তু অরূপের মনের ভেতর তখনও সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার স্মৃতি তাজা ছিল। তিনি জানতেন, এই ঘটনা তিনি কখনও ভুলতে পারবেন না।
সেদিন থেকে অরূপ আর কখনও রাতের শেষ ট্রেনে যাত্রা করেননি। তিনি সবসময় চেষ্টা করতেন যাতে সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরতে পারেন।
কয়েক মাস পর, একদিন অফিসে অরূপ একটা খবর শুনলেন। তাঁর এক সহকর্মী বলছিলেন, “গত রাতে নাকি হাওড়া লাইনের শেষ ট্রেনে একজন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। সেই যাত্রী নাকি বলছিলেন, তিনি ট্রেনে একটা ভূত দেখেছেন।”
অরূপের বুকের ভেতরটা আবার ধক করে উঠল। তিনি বুঝতে পারলেন, সেই রাতের ঘটনা শুধু তাঁর সাথেই ঘটেনি। আরও অনেকে হয়তো এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন, কিন্তু কেউ প্রকাশ্যে বলতে সাহস পাননি।
সেদিন রাতে বাড়ি ফিরে অরূপ অনেকক্ষণ জেগে বসে রইলেন। তিনি ভাবছিলেন, কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? কী চায় সেই আত্মা? কেন সে শেষ ট্রেনেই আসে?
অরূপ সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি এই রহস্যের সমাধান করবেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন, এটা খুব বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু তাঁর মনে হচ্ছিল, হয়তো এই ভাবেই সেই আত্মা শান্তি পেতে পারে।
পরের দিন অরূপ ছুটি নিলেন। তিনি সারাদিন লাইব্রেরিতে বসে গবেষণা করলেন। তিনি জানতে চাইছিলেন, এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে কিনা।
অরূপ জানতে পারলেন, প্রায় দশ বছর আগে হাওড়া লাইনে একটা ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। শেষ ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে অনেক যাত্রী মারা গিয়েছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় একজন মহিলা যাত্রীর মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
অরূপের মনে হল, হয়তো সেই মহিলার আত্মাই এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি আরও তথ্য সংগ্রহ করতে লাগলেন।
কয়েকদিন পর অরূপ জানতে পারলেন, সেই মহিলার নাম ছিল অঞ্জলি দাস। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষিকা। সেদিন রাতে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে ,যার ফলে তার আর কোনোদিন বাড়ি ফেরা হয়নি। .
অরূপ সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি অঞ্জলি দেবীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করবেন। হয়তো তাঁরা কিছু সাহায্য করতে পারবেন। অরূপ অঞ্জলি দেবীর ঠিকানা সংগ্রহ করলেন এবং একদিন সন্ধ্যায় তাঁদের বাড়িতে গেলেন।
অঞ্জলির বাবা-মা তখনও সেই বাড়িতেই থাকতেন। তাঁরা অরূপকে দেখে প্রথমে একটু অবাক হলেন। কিন্তু অরূপ যখন তাঁর উদ্দেশ্য জানালেন, তখন তাঁরা তাঁকে ভেতরে নিয়ে এলেন।
অঞ্জলি দেবীর মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “বাবা, আমরা তো আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এতদিন পর তুমি কেন এসব খুঁজছ?”
অরূপ ধীরে ধীরে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বললেন। তিনি বললেন কীভাবে তিনি ট্রেনে সেই মহিলাকে দেখেছিলেন, কীভাবে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে সেটা কোনো সাধারণ যাত্রী নয়।
অঞ্জলির বাবা-মা স্তব্ধ হয়ে শুনলেন। তাঁরা জানতেন না কী বলবেন। অনেকক্ষণ চুপচাপ থাকার পর অঞ্জলির বাবা বললেন, “বাবা, তুমি যা বলছ, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের মেয়ে এখনও শান্তি পায়নি। আমরা কী করতে পারি?”
অরূপ বললেন, “আমি জানি না আমরা কী করতে পারি। কিন্তু আমি মনে করি, আপনাদের মেয়ে কিছু চাইছে। হয়তো তার কোনো অসমাপ্ত কাজ ছিল। আমরা যদি সেটা বুঝতে পারি, তাহলে হয়তো তাকে শান্তি দিতে পারব।”
অঞ্জলির মা তখন উঠে গেলেন এবং একটা ডায়েরি নিয়ে এলেন। তিনি বললেন, “এটা অঞ্জলির ডায়েরি। সেদিন রাতে সে এটা বাড়িতে ফেলে গিয়েছিল। আমরা কখনও এটা পড়িনি। হয়তো এর মধ্যে কিছু পাওয়া যেতে পারে।”
অরূপ ডায়েরিটা হাতে নিলেন। তিনি অঞ্জলির বাবা-মার অনুমতি নিয়ে ডায়েরিটা পড়তে শুরু করলেন।
ডায়েরি পড়তে পড়তে অরূপ জানতে পারলেন, অঞ্জলি তার স্কুলের একজন ছাত্রীকে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। সেই ছাত্রীর নাম ছিল মীরা। মীরা একটি গরিব পরিবারের মেয়ে ছিল। তার বাবা-মা চাইতেন মীরা পড়াশোনা ছেড়ে কাজ করুক। কিন্তু অঞ্জলি চাইতেন মীরা পড়াশোনা চালিয়ে যাক।
অঞ্জলি লিখেছিলেন, সেদিন রাতে তিনি মীরার বাবা-মার সাথে কথা বলতে যাচ্ছিলেন। তিনি চাইছিলেন মীরার পড়ার খরচ নিজে বহন করতে।
অরূপ বুঝতে পারলেন, হয়তো এটাই ছিল অঞ্জলির অসমাপ্ত কাজ। তিনি অঞ্জলির বাবা-মাকে এ বিষয়ে জানালেন।
অঞ্জলির বাবা বললেন, “হ্যাঁ, আমরা জানতাম অঞ্জলি তার ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুব চিন্তা করত। কিন্তু আমরা জানতাম না সে এতটা এগিয়ে যেতে চেয়েছিল।”
অরূপ জিজ্ঞেস করলেন, “আপনারা কি জানেন সেই মীরা এখন কোথায় আছে?”
অঞ্জলির মা বললেন, “না বাবা, আমরা তো জানি না। অঞ্জলির মৃত্যুর পর আমরা আর স্কুলের সাথে যোগাযোগ রাখিনি।”
অরূপ বুঝতে পারলেন, এখন তাঁর কাজ হল মীরাকে খুঁজে বের করা। তিনি অঞ্জলির স্কুলে গেলেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারলেন, মীরা এখন একটি কলকারখানায় কাজ করে।
অরূপ মীরার সাথে দেখা করলেন। মীরা তখন একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলা। অরূপ তাকে সব কথা খুলে বললেন।
মীরা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “অঞ্জলি ম্যাডাম আমার জীবন বদলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর আমি আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারিনি।”
অরূপ বললেন, “এখনও দেরি হয়নি মীরা। তুমি যদি চাও, তুমি আবার পড়াশোনা শুরু করতে পার।”
মীরা অবাক হয়ে বললেন, “কিন্তু কীভাবে? আমার তো এখন সংসার আছে।”
অরূপ বললেন, “অঞ্জলি ম্যাডামের বাবা-মা তোমাকে সাহায্য করতে চান। তাঁরা বলেছেন, তাঁরা তোমার পড়ার খরচ বহন করবেন।”
মীরার চোখে জল এল। সে বলল, “আমি জানি না কী বলব। আমি কখনও ভাবিনি এমন কিছু হতে পারে।”
অরূপ বললেন, “এটাই ছিল অঞ্জলি ম্যাডামের ইচ্ছা। তুমি যদি এটা করো, তাহলে হয়তো তিনি শান্তি পাবেন।”
মীরা রাজি হল। সে আবার পড়াশোনা শুরু করল। অঞ্জলির বাবা-মা তার সব খরচ বহন করতে লাগলেন।
কয়েক মাস পর, একদিন রাতে অরূপ আবার সেই শেষ ট্রেনে উঠলেন। তিনি জানতেন, এটা বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু তিনি জানতে চাইছিলেন, তাঁর প্রচেষ্টা সফল হয়েছে কিনা।
ট্রেন চলতে শুরু করল। অরূপ চারপাশে তাকালেন। বগিটা খালি ছিল। তিনি অপেক্ষা করতে লাগলেন।
কিছুক্ষণ পর অরূপ অনুভব করলেন, কেউ যেন তাঁর পাশে এসে বসেছে। তিনি ধীরে ধীরে মুখ ফেরালেন।
সেখানে বসে ছিলেন সেই মহিলা। কিন্তু এবার তাঁর মুখে একটা শান্ত হাসি ছিল। তিনি অরূপের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ধন্যবাদ।”
তারপর মহিলাটি ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলেন। অরূপ বুঝতে পারলেন, অঞ্জলি এবার শান্তি পেয়েছেন।
সেদিন থেকে আর কেউ হাওড়া লাইনের শেষ ট্রেনে কোনো ভূত দেখেনি। অরূপ নিজেও আর কখনও সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি।
কিন্তু অরূপের জীবন বদলে গিয়েছিল। তিনি বুঝেছিলেন, মানুষের অসমাপ্ত কাজগুলো কত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তিনি নিজের জীবনেও অনেক পরিবর্তন আনলেন। তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্যও বাঁচতে শিখলেন।
মীরা পড়াশোনা শেষ করে একজন শিক্ষিকা হল। সে প্রতিজ্ঞা করল, সে অঞ্জলি ম্যাডামের মতো তার ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করবে।
অঞ্জলির বাবা-মা শান্তি পেলেন। তাঁরা জানতেন, তাঁদের মেয়ের আত্মা এখন মুক্তি পেয়েছে।
অরূপ মাঝে মাঝে ভাবেন, সেই রাতের ঘটনা তাঁর জীবন কতটা বদলে দিয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, জীবনে অনেক রহস্য আছে যা আমরা বুঝতে পারি না। কিন্তু সেই রহস্যগুলোর পেছনেও একটা অর্থ থাকে।
সেই ঘটনার পর থেকে অরূপ আর কখনও রাতের শেষ ট্রেনে যাত্রা করেননি। কিন্তু প্রতি রাতে যখন তিনি শেষ ট্রেনের শব্দ শোনেন, তখন তাঁর মনে পড়ে যায় সেই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা। তিনি ভাবেন, হয়তো এখনও অনেক আত্মা আছে যারা শান্তি খুঁজছে।
অরূপ এখন তাঁর জীবনের বাকি সময় অন্যদের সাহায্য করতে উৎসর্গ করেছেন। তিনি একটি এনজিও খুলেছেন যা গরিব ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্য করে। তিনি চান, যেন কোনো ছাত্রছাত্রী অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ করতে না হয়।
মাঝে মাঝে রাতে যখন অরূপ জেগে থাকেন, তখন তাঁর মনে হয় তিনি যেন একটা হালকা স্পর্শ অনুভব করছেন। তিনি জানেন, এটা হয়তো অঞ্জলির আশীর্বাদ। তিনি মনে মনে অঞ্জলিকে ধন্যবাদ জানান, যে তাঁকে এই নতুন জীবনের পথ দেখিয়েছে।
এভাবেই একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেষ পর্যন্ত অরূপের জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা এনে দেয়।
Audio Story Starts From Here:
Story Info | Name |
---|---|
Writer | Joydeep Lahiri |
Intro & Ending | Debanshu Ghosh |
Kathak | Souradip Roy |
Characters | Name |
---|---|
Arup | Joydeep Lahiri |
Mira | Priyanka Dutta |
Anjali | Olivia Das |
Other Voice | Olivia Das, Debanshu Ghosh |
Find us on Facebook – click here