Visits: 76

ওয়েবসাইটের সুবিধা:

ওয়েবসাইট কি?

Website হলো ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত এবং WWW বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে প্রদর্শিত এমন এক গঠনগত দৃশ্যমান অংশ যার সাহায্যে বিভিন্ন কোম্পানি বা সংস্থা নিজেদের যাবতীয় তথ্য প্রদর্শন করে থাকে।

ওয়েবসাইট কিভাবে প্রস্তুত করা হয়?

সর্বপ্রথম কোনো হোস্টিং কোম্পানির সাহায্যে ইন্টারনেটের দুনিয়ার কিছু পরিমাণে ভার্চুয়াল জায়গা বা সার্ভার কিনতে হয়। সার্ভার সাধারণত বিশালাকৃতির জায়গা হয় এবং একটা গোটা সার্ভার কিনতে প্রচুর মূল্য ব্যয় করতে হয়। সাধারণত বড় বড় ব্যবসায়ী সংস্থাই সম্পূর্ণ সার্ভার ক্রয় করে থাকে। কিন্তু যাদের বিশাল জায়গার প্রয়োজন হয়না তারা সার্ভারের একটি ক্ষুদ্রতম অংশ বা হোস্টিং পার্ট খুব কম মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় করে থাকে।

এরপর ডোমেন বা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় একটি নিজস্ব ঠিকানা ক্রয় করতে হয় এবং বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে ডোমেইন এবং হোস্টিং কে সংযুক্ত করতে হয়। এই প্রক্রিয়াটি সাধারনত 24 থেকে 48 ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যায়। ডোমেন এবং হোস্টিং এর সাহায্যেই  কোন ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় পাবলিশ করা হয়ে থাকে।

এরপর HTML, CSS, JavaScript, PHP, MYSQL প্রভৃতি এবং আরো অন্যান্য ওয়েব প্রযুক্তির ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত এবং কার্যক্রম করা হয়ে থাকে।

একটি ওয়েবসাইট একটিমাত্র পেজের দ্বারা গঠিত হতে পারে আবার একাধিক পেজের দ্বারাও গঠিত হতে পারে।

ওয়েবসাইটের প্রকারভেদ –

ওয়েবসাইটের বিভিন্ন প্রকারভেদ লক্ষ্য করা যায় যথা ব্লগ ওয়েবসাইট, ইনফরমেটিভ ওয়েবসাইট, ই-কমার্স ওয়েবসাইট, পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট এবং তাদের সুবিধা –

  • ইনফরমেটিভ ওয়েবসাইট – আগেকার দিনে কোন বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের প্রচুর বই ঘাটতে হতো, কারণ একটি বইতে সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেওয়া থাকতো না। সব বই সব জায়গায় সমান ভাবে উপলব্ধ থাকত না এছাড়া বিষয়টি সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কার হলেও তা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারার কোন সুযোগই ছিল না। কিন্তু এই ধরনের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে কোন একটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে। যদি ওয়েবসাইটটিতে সব তথ্য নাও দেয়া থাকে, তবু হাইপারলিঙ্কের সাহায্যে ওয়েবসাইটের সাথে এমন সমস্ত ওয়েবসাইটের সংযোগ স্থাপন করা হয়ে থাকে যেগুলিতে গেলে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর ওপর আরোও বিস্তারিত তথ্য বা বিষয়টির সাথে সম্পর্কিত আরো ছোটখাট বিভিন্ন তথ্য জানতে পারা যায়। বিষয়বস্তুটি সম্পর্কে কোনো নতুন তথ্য আবিষ্কার হওয়ার সাথে সাথেই এই ধরনের ওয়েবসাইটে সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হয় ফলে দর্শকেরা সঙ্গে সঙ্গেই তা জানতে পেরে যায়। এছাড়া ওয়েবসাইটগুলোতে বিষয়বস্তু সম্পর্কিত প্রচুর ছবি এমনকি ভিডিও যা বিষয়বস্তু গুলিকে দ্রুত এবং গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট – এই ধরনের ওয়েবসাইটের এর সাহায্যে নিজের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে অতি সহজেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রাখা যায় তা সেই ব্যক্তি পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই থাকুক না কেন। এছাড়া এই ধরনের ওয়েবসাইটের সাহায্যে এমনসব অপরিচিত ব্যক্তির সাথেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় যারা আপনার আত্মীয়দের বা বন্ধুদের বন্ধু অথবা একই ধরনের বিষয়ের উপর আগ্রহ রাখেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবসায়িক প্রচারেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাও বিনামূল্যে নিজেদের প্রোডাক্টের যাবতীয় তথ্য জনসমুদ্রের সামনে তুলে ধরতে পারেন। তা একদিকে যেমন কোন উঠতি ব্যবসায়ীকে তার ব্যবসা দাঁড় করাতে সাহায্য করে তেমনি অপরদিকে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কেও তার ব্যবসার আরো বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে শুধু নিজের দেশেই নয় বিদেশেও।
  • ব্লগ ওয়েবসাইট – এই ধরনের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া থাকে। সাধারণ ওয়েবসাইটে একটি বিষয়, খুব বেশি হলে কয়েকটি বিষয়ের উপর তথ্য দেওয়া থাকে। ফলে দর্শকরা কয়েকবার ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করার পর আর প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করেনা কারণ তারা জানে ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু তো একই আছে যা আমাদের আগে থেকেই জানা হয়ে গেছে। কিন্তু ব্লগ ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে খুব অল্প সময় অন্তর নতুন কোন বিষয় বস্তুর উপর তথ্য প্রকাশ করা হয়, ফলে দর্শকরা বারবার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে থাকেন এই আশায় যে তারা নতুন কোন ইন্টারেস্টিং বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া দর্শকদের কোন বিষয়বস্তু পছন্দ হলে তারা সেই বিষয়বস্তু গুলি নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকেন যার ফলে নতুন দর্শকদেরও সেটি নজরে আসে এবং সেই বিষয়গুলির দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে তারা প্রধান ব্লগিং সাইটটি ভিজিট করেন। ফলে একদিকে যেমন দর্শকেরা একটি জায়গা থেকেই প্রায়শই নতুন নতুন বিষয়ের ওপর জ্ঞান লাভ করতে পারেন তেমনি অন্যদিকে প্রতিনিয়ত প্রচুর এবং নতুন দর্শকদের আগমনের ফলে ওই ব্লগিং সাইটের সাহায্যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা যদি নিজেদের ব্যবসার প্রচার করেন তাহলে তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রচুর দর্শকের চোখে পড়ে, এবং তা ব্যবসার দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও নিজস্ব ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটেও যদি একটি ব্লগ অংশ রাখা যায় এবং তাতে যদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ মাঝে মাঝে পাবলিশ করা যায় তাহলেও একই ধরনের সুফল লাভ করা যায়।
  • পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট – এই ধরনের ওয়েবসাইটকে পার্সোনাল ওয়েবসাইটও বলা হয়ে থাকে। যখন কোন চাকরি প্রার্থী ব্যক্তি কোন নিয়োগকারী সংস্থায় যায় তখন সে নিয়োগকারী ব্যক্তিদের কাছে নিজেকে উপস্থাপনা করার জন্য খুব সামান্য সময় পায়।ফলে সে একটি বা কয়েকটি পৃষ্ঠার দ্বারা গঠিত বায়োডাটা নিয়োগকারী ব্যক্তিদের সামনে রাখে যাতে তার নিজের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলি দেওয়া থাকে। কিন্তু এর সাহায্যে আবেদনকারী ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কয়েকটি সাধারণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই জানানো সম্ভব হয়। এখন যদি ওই ব্যক্তির একটি নিজস্ব পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকে, সেখানে প্রাথমিক তথ্যগুলি ছাড়াও তার অন্যান্য ক্ষেত্রে আর কি কি যোগ্যতা আছে তার প্র্যাকটিকাল নিদর্শন দেওয়া থাকে। এটি নিয়োগকারী ব্যক্তিদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হয় এবং আবেদনকারী ব্যক্তির সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই ধরনের ওয়েবসাইট ইন্টারনেটের দুনিয়ায় উপলব্ধ থাকার ফলে আবেদনকারী ব্যক্তি শুধু নিজের দেশেরই নয় বিদেশের কোনো নিয়োগকারী সংস্থার থেকেও কাজের সুযোগ পেতে পারেন যার জন্য তাকে নিজের বায়োডাটা নিয়ে সেই মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত থাকার কোন প্রয়োজন হয় না।
  • ই-কমার্স ওয়েবসাইট – এই ধরনের ওয়েবসাইট প্রধানত অনলাইনে ব্যবসা করার কাজেই ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের ওয়েবসাইটের সাহায্যে অনলাইনে ব্যবসা চালু করতে একদিকে যেমন খুব সামান্য মূলধন খরচ হয় ঠিক তেমনি এটি ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সব সময় উপলব্ধ থাকার কারণে কাজের সময়ের বাইরেও এমনকি ছুটির দিনেও ব্যবসা করা সম্ভব হয়। এই ধরনের ওয়েবসাইট এর সাহায্যে কোন ব্যক্তি নিজস্ব প্রোডাক্ট কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যেই নয় বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বিক্রি করতে সক্ষম হন। কাস্টমারদের কাছেও এই ধরনের ওয়েবসাইট খুব জনপ্রিয় হয় কারণ তারা নিজেদের স্বচ্ছন্দ পরিবেশে থেকেও মোবাইল, ট্যাবলেট ইত্যাদি ডিভাইসের সাহায্যে প্রোডাক্ট সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারেন, তাদের কাছে একটি প্রোডাক্টের অসংখ্য ভ্যারাইটি উপলব্ধ থাকে যার থেকে তারা নিজেদের পছন্দের প্রোডাক্টটি বেছে নিতে পারেন এবং যে কোন সময় প্রোডাক্টটি ক্রয় করতে পারেন।

Softweb Development Technologies এর সদস্যরা  বিভিন্ন অত্যাধুনিক ওয়েব প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট প্রস্তুত করে থাকেন।


ওয়েব টেকনোলজি বা ওয়েব প্রযুক্তি

আরো পড়ুন

https://www.facebook.com/srijoni

ওয়েবসাইটের সুবিধা
What’s your Reaction?
+1
1
+1
0
+1
0
+1
0
+1
1
+1
0
+1
0

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *