ওয়েব টেকনোলজি বা ওয়েব প্রযুক্তি
Views: 129
ওয়েব টেকনোলজি বা ওয়েব প্রযুক্তি:
ওয়েব প্রযুক্তি কি?
ওয়েব প্রযুক্তি বলতে বোঝায় সেইসব টুল বা পদ্ধতির ব্যবহার যার সাহায্যে ইন্টারনেটে দুই বা ততোধিক ভিন্ন বৈদ্যুতিক ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয় বা তথ্যের আদান-প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন ব্যবহৃত ওয়েব প্রযুক্তি কি কি?
সাধারনত কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে ওয়েব প্রযুক্তির শ্রেণীবিন্যাস করা হয়ে থাকে। সেই ভিত্তিতে দু’ধরনের শ্রেণীবিন্যাস পাওয়া যায় ক্লায়েন্ট সাইড ওয়েব প্রযুক্তি এবং সার্ভার সাইড ওয়েব প্রযুক্তি। যদি বিস্তারিত ভাবে শ্রেণীবিন্যাস করতে হয় তাহলে সেগুলি নিম্ন-প্রকার –
- ওয়েব ব্রাউজার – ওয়েব ব্রাউজার হল ক্লায়েন্ট সাইডে ব্যবহৃত এমন এক অ্যাপ্লিকেশন যার সাহায্যে ইন্টারনেট তথা www বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর কোন তথ্যকে সার্ভার সাইড থেকে তুলে এনে ক্লায়েন্ট সাইডে তার চাক্ষুষ রূপটি প্রদর্শিত করা হয়।কয়েকটি বিখ্যাত ওয়েব ব্রাউজার হল গুগল ক্রোম, মজিলা ফায়ারফক্স, মাইক্রোসফট এজ ইত্যাদি।
- ওয়েব সার্ভার – ওয়েব সার্ভার হলো সার্ভার সাইডে ব্যবহৃত এমন এক এমন এক ভার্চুয়াল জায়গা যেখানে সব তথ্য সংরক্ষিত থাকে এবং ক্লায়েন্টের অনুরোধে এবং হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকলের সাহায্যে সেটিকে ক্লায়েন্টের সামনে প্রস্তুত করা হয়।সাধারনত কোন কম্পিউটার মেশিনকেই সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করা হয।
- ওয়েব ডেভলপমেন্ট প্রযুক্তি – ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রযুক্তি হল সেই পদ্ধতি যার সাহায্যে কোন ওয়েবসাইটকে প্রস্তুত করা হয় এবং সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি আবার দুটি উপবিভাগে বিভক্ত, যথা ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপমেন্ট এবং ব্যাক এন্ড ডেভলপমেন্ট।
- ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপমেন্ট – ক্লায়েন্টের সামনে দৃশ্যমান ওয়েবসাইট এর অংশবিশেষ তৈরি করার পদ্ধতি হল এটি। এক্ষেত্রে যে গুলির ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল –
- HTML – হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ হল সেই ভাষা যার সাহায্যে কোন ওয়েবসাইটের বা ওয়েব ডকুমেন্টের প্রধান কাঠামো তৈরি করা হয়।
- CSS – ক্যাস্ক্যাডিং স্টাইলিং সিটের সাহায্যে কোন ওয়েবসাইটকে সুন্দর রুপ প্রদান করা হয়ে থাকে।
- JavaScript – এটির সাহায্যে কোন ওয়েবসাইটকে কার্যক্ষম করে তোলা হয়।
- J-Query – এটি হলো একটি ছোট্ট, দ্রুত এবং অসংখ্য বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ জাভা স্ক্রিপ্টের লাইব্রেরী যার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের প্রসেসিং এর কাজ করানো হয়ে থাকে।
- Angular JS – এটি হলো জাভা স্ক্রিপ্টের উপর নির্ভরশীল এবং ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর কাজে ব্যবহৃত একটি ওপেনসোর্স ফ্রেমওয়ার্ক যার সাহায্যে ওয়ান পেজ অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুত করা হয়।
- React JS – এটিও একটি জাভা স্ক্রিপ্টের উপর নির্ভরশীল এবং ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর কাজে ব্যবহৃত একটি ওপেনসোর্স লাইব্রেরী যার সাহায্যে ওয়ান পেজ অ্যাপ্লিকেশন বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুত করা হয়।
- Bootstrap – এটি হলো CSS এর উপর নির্ভরশীল একটি ওপেনসোর্স ফ্রেমওয়ার্ক যা কোন ওয়েবসাইট বা ডকুমেন্টকে মোবাইল রেস্পন্সিভ করতে সাহায্য করে। এরমধ্যে CSS এবং JavaScript নির্মিত কিছু কাস্টম টেমপ্লেট থাকে যে গুলির ব্যবহার করে অতি দ্রুত ওয়েবসাইটের ডিজাইনিং এর কাজটা করে ফেলা যায়।
- ব্যাক এন্ড ডেভলপমেন্ট – ওয়েবসাইটির এমন এক অংশের নির্মাণের প্রক্রিয়া, যা ক্লায়েন্টের সামনে দৃশ্যমান নয় প্রধানত তথ্য সংরক্ষণ এবং আদান-প্রদানের কাজেই ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে যে গুলির ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল –
- PHP – এটি সার্ভার সাইডে ব্যবহৃত এক ধরনের স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ যা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাজে ব্যবহৃত হয়।
- Python – এটি এক ধরনের প্রোগ্রামিং এর ভাষা যার সাহায্যে খুব দ্রুত এবং আরো দক্ষতার সাহায্যে সিস্টেমগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- C# – এটি একটি সাধারণ কাজে ব্যবহৃত অবজেক্ট নির্ভরশীল প্রোগ্রামিং এর ভাষা।
- Laravel – এটি একটি PHP দ্বারা নির্মিত ওপেনসোর্স ফ্রেমওয়ার্ক যা মডেল-ভিউ-কন্ট্রোলার আর্কিটেকচারাল প্যাটার্ন এর নিয়ম মেনে কাজ করে থাকে।
- WordPress – এটি PHP ও My SQL ডাটাবেস দ্বারা নির্মিত ওপেনসোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর বৈশিষ্ট্য হলো প্লাগিন আর্কিটেকচার এবং টেমপ্লেট সিস্টেমের সাহায্যে বিনা কোড লিখেই দ্রুত একটি কার্যক্ষম এবং রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলা যায়।
- .NET Framework – এটি হলো মাইক্রোসফট সংস্থা দ্বারা প্রস্তুত হওয়া সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক যার সাহায্যে উইন্ডোজ, লিনাক্স, ও অ্যান্ড্রয়েড ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেমে কর্মক্ষম বিভিন্ন এপ্লিকেশন প্রস্তুত করা হয়।
- ফ্রন্ট এন্ড ডেভলপমেন্ট – ক্লায়েন্টের সামনে দৃশ্যমান ওয়েবসাইট এর অংশবিশেষ তৈরি করার পদ্ধতি হল এটি। এক্ষেত্রে যে গুলির ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল –
- ডেটাবেস – এটি ওয়েব প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংরক্ষিত করে রাখা হয় এবং পরবর্তীকালে ওয়েবসাইটে সেগুলি প্রয়োজন অনুসারে প্রদর্শন করা হয়। ডেটাবেস প্রধানত দুই রকমের হয় সাধারণ ডেটাবেস এবং রিলেশনাল ডেটাবেস।
- MongoDB – এটি একধরনের সাধারণ ওপেনসোর্স ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম। এখানে তথ্য ডকুমেন্টের আকারে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে এবং চাহিদা অনুসারে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত করা হয়।
- Oracle – এটি এক ধরনের রিলেশনাল ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম। এখানে তথ্য টেবিলের স্ট্রাকচারের সংরক্ষিত করা হয় এরকম অসংখ্য টেবিল থাকে এবং প্রতিটি টেবিল অন্য টেবিলের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়।
- MySQL – এটি এক ধরনের ওপেনসোর্স রিলেশনাল ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম। এক্ষেত্রেও তথ্যগুলি একাধিক টেবিলে সংরক্ষিত করা হয় এবং টেবিল গুলি পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়।
- প্রোটোকল – ওয়েব প্রযুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রোটোকল। এটি কিছু সাধারণ নিয়মাবলীর সেট যার সাহায্যে ইন্টারনেটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ-কর্মগুলি করা হয়।প্রোটোকল বিভিন্ন ধরনের হয়, যথা
- HTTP – হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল যার সাহায্যে সার্ভারে থাকা কোন নির্দিষ্ট তথ্য ভান্ডার এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হয় এবং সার্ভার থেকে সেই তথ্যকে তুলে এনে ওয়েবপেজের আকারে প্রদর্শন করা হয়।
- FTP – ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলের সাহায্যে যেমন তথ্যের আদান-প্রদান করা যায় তেমনি কোন তথ্যকে ইন্টারনেট থেকে কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে ডাউনলোড করে নেওয়া যায় বা কম্পিউটার সিস্টেম থেকে ইন্টারনেটে আপলোড করে দেওয়া যায়।
- SSL – সিকিওর সকেট লেয়ারও এক ধরনের প্রটোকল যেটি সার্ভার এবং ওয়েব পেজের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদানের সময় বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। এটির সাহায্যে নিরাপদে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা-পয়সার লেনদেন করা যায়।
Softweb Development Technologies এর প্রত্যেক সদস্য বিভিন্ন ওয়েব প্রযুক্তির ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ এবং তারা তাদের কাজকর্ম গুলি বিভিন্ন লেটেস্ট ওয়েব প্রযুক্তির ব্যবহার করে থাকে।
https://www.facebook.com/srijoni
What’s your Reaction?
+1
2
+1
+1
+1
+1
+1
+1
Very nice