Visits: 3

স্বপ্ন মঞ্জিল:

আমার নাম দীপক সেন। আমার আদিবাড়ি শিলিগুড়ি। আমার বাবা একজন আই.পি.এস অফিসার। আমি এখন বর্তমানে ভাড়া বাড়িতে থাকি,এই কলকাতা শহরে একটা বাড়ি করবো বা কিনবো এই আশায়।  আমার পরিচয় আমি একজন ডাক্তার। এখন আমি নীল রতন সরকার হাসপাতালে কর্মরত, হাউস সার্জেন হিসাবে। রিটায়ার বাবা মা শিলিগুড়িতে থাকেন।

আমার নাম ঝুমা দে। আমার ত্রিসংসারে কেউ নেই, ৬ বছর বেলায় বাবা মা দুজনাই একটা এক্সিডেন্টে মারা যান। তখন আমরা থাকতাম শিলিগুড়ি, তারপর ঠাকুরদা আর ঠাকুমা আমায় নিয়ে চলে আসেন এই কলকাতায় বালিগঞ্জে। ঠাকুরদার একটা দোতলা বাড়ি ছিল, সেটাকে বাড়িয়ে তিন তলা করে দেন। তিন তলা বাড়িতে মোট ৯ খানা ভাড়াটিয়া থাকে, দুটো করে ঘর নিয়ে। সে ভাড়ার টাকায় সংসার চলতো। হঠাৎ একদিন ঠাকুমাও চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে তখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি। এ বাড়িতে নিচের তলায় ঠাকুরদার একজন বন্ধু ভাড়া থাকতেন, তিনি পেশায় উকিল। তাঁর স্ত্রী আর একটি ছেলে, ছেলেও উকিল। বিবাহের ঠিকঠাক চলছে। তারপর আমি যখন মাধ্যমিক দিয়ে ইলেভেনে ভর্তি হলাম। ঠিক তখনই দুদিনের জ্বরে ঠাকুরদাও মারা গেলেন। আমি শুধু অসহায় অবস্থায় পড়ে রইলাম। ভরসা শুধু উকিল দাদু।

আমার বাবার বদলির চাকরী, বাইরে বাইরে ঘোরা।  তাই আমি দার্জিলিং-এর কনভেন্ট পড়ে মানুষ হয়েছি। কনভেন্টে পড়ার পরই ওখান থেকে আমি বিদেশে চলে যাই। তারপর বিদেশে পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরতেই চাকরীও পেয়ে যাই। তারপর যা হয়, মায়ের এবার ইচ্ছা আমার বিয়ের দেওয়ার,সেই নিয়েই তার হাজার জিজ্ঞাসা। আমার যে কোনো বান্ধবী নেই বা অন্য কোনো ব্যাপার নেই তা জানিয়ে দিয়েছি।  হঠাৎ একদিন বাবা মাকে বললেন,

 যে তার বন্ধু সুবোধের মেয়ের সাথে ছোটবেলায় আমার বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলেন। কথা দেওয়া নেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়ে ? হায় রে! ……এখন কোথায়? কোন ঠিকানায় ? কোন সন্ধানে?, তাই বাবার আর এক বন্ধুর সন্ধান দিয়েছেন, তাঁর সন্ধান করতেই এই কলকাতায় এসে এক মেসবাড়িতে উঠলাম। বাবাই সন্ধান করে এই মেস বাড়ি ঠিক করে অ্যাডভান্স করে ঘরটা বুক করে রেখেছিলেন; প্রায় তিন মাস ধরে। আজ চাকরী পেয়ে সোজা হসপিটালের মেসে এসে উঠেছি। বাবার বুক করা ঘরে আর উঠি নি। কারণ একদম মেসের কাছেই হসপিটাল, এতে আমার বেশ সুবিধা আছে।  বাবার বুক করা ঘরে আরো একমাস পরে গিয়ে থাকব। কারণ বাড়িটা খানিকটা দূরে। আগে কলকাতায় সব রাস্তা চেনা জানা হোক তারপর না হয় যাবো সেই বাড়িতে।………

বাড়িটার ওপর আর উকিলদাদুর ওপর ভরসা করে একটু আশস্তো হয়ে বড্ড ভুল করেছিলাম। ঈশ্বর আমার ওপর বড় বিরক্ত তাই দাদু মারা যাওয়ার ৬মাস যেতে না যেতেই উকিল দাদু জানালেন, এই বাড়ীটাও আমার থাকলো না। আমার ঠাকুরদা শেষ বয়সে অনেক দেনা করেছিলেন, নাতনিকে ভালোভাবে মানুষ করার জন্য লেখা পড়া, নাচ গান, শেখানোর কোন ত্রুটি করেন নি। তাই বাড়িটাও তাঁরই ছেলের বন্ধু দীপচাঁদ কাংকারিয়ার কাছে মটগেজ রেখে ছিলেন। আজ ঠাকুরদা মারা গেছেন প্রায় তিন/চার বছর হয়ে গেল। দীপচাঁদ কাকু এই বাড়ি দখল নিয়েছেন তাই বাড়ি ভাড়াও এখন তিনি নেবেন। শুধু দয়া করে আমাকে নিচের যে ঘরে আমি আর দাদু থাকতাম, সেখানে থাকতে দিয়েছেন, তাও দুটো ঘরের মধ্যে একটা ঘরে। আর একটা ঘর কে একজন তিন মাস ধরে বুক করে রেখেছেন, যে কোন সময় এসে থাকতে পারেন। আমি আর চোখের জল ফেলি না। সব শুকিয়ে গেছে। 

আগে ঝুমা ভাবতো, স্বপ্ন দেখতো ওর বাড়ি বা ফ্ল্যাট হবে,গাড়ি হবে, ঘর সাজানো জিনিস হবে। বাইরে বেড়াতে যাবে। অনেক টাকা হবে।

আর এখন ঝুমা উকিল দাদুর বাজার দোকান রেশন করে দেয় বলে, দুপুরের ভাত ডাল জোটে, তিনতলার দক্ষিন ঘরের দাদা বৌদি, দুজনাই চাকরী করে ওদের ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসা নিয়ে আসা, যতক্ষন না ওর বাবা মা আফিস থেকে ফিরছে ততক্ষন দেখভাল করা, তার বদলে রাতের খাবারটা জোটে। বাড়ির সব ভাড়াটা মাসের শেষে আদায় করার পর দীপচাঁদ কুাকুকে দিয়ে আসতে হয়। ভাড়াটেদের ওপর খেয়াল রাখতে হয়, সবার সুবিধা অসুবিধা দেখতে হয়, তার প্রতিকার করতে হয়, আর এই সব করার জন্য দীপচাঁদ কাকু তাকে একটা মাইনে হিসাবে কিছু টাকা দেয় তাতে ওর কলেজের মাইনে হয়ে যায়। আর নিজে যা টিউশানি করে তাই দিয়ে বাকি খরচ চলে।

দীপকের বাবা সুধাময় বাবুর কোন একটা কেশের ব্যাপারের জন্যই দীপচাঁদ কাংকারিয়ার সঙ্গে আলাপ ও বন্ধুত্ব। সেই ভেবেই সুধাময় বাবু বন্ধু সুবোধদের খোঁজ নিতে বলেছিলেন, পরে দীপচাঁদ  বাবু সব খবর দিয়েছিলেন সুধাময় বাবুকে। খবর পেয়ে সুধাময়বাবু দীপচাঁদবাবুকে চুপ থাকতে বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন সময় হলে তিনি নিজে এসে পরিচয় দেবেন, এই ভাবেই চলছিল দিন। 

হঠাৎ একদিন দীপচাঁদ কাকু এসে বললেন ঝুমাকে যে তার পাশের ঘরটা পরিষ্কার করে রাখতে। সকাল থেকেই ঝুমা তাই ঘর পরিষ্কার করে রাখে। সেদিন আকাশ মেঘলা, দুপুর থেকে টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়তে থাকে।  সেই বৃষ্টিতে একটি ছেলে এসে ঘরে ঢোকে। ঝুমার সেদিন শরীরটা ভালো ছিল না। ঘরে শুয়েই ছিল। নিচের তলার উত্তরের ঘরের ভাড়াটিয়ার মেয়ে তুলি। সে এই উচ্চ মাধ্যমিক দিলো। সে ছুটে এসে ঢোকে ঝুমার ঘরে, জানতে চায় যে কে এলো পাশের ঘরে। ঝুমা ওর কথায় জানিয়ে দেয় যে ও জানে না।

বাড়ির আরো কয়েকজন ছোটরা এসে জড়ো হয় ঝুমার ঘরে, সবাই এসে ঝুমার কাছে আবদার করে এই বৃষ্টিতে একটা মজার গল্প বলতে।ঘরের সামনে দাওয়ায় বসে পরে সব মাদুর পেতে। ঝুমার আর শুয়ে থাকতে ভালো লাগছিলো না সেও এসে ওদের সাথে যোগ দেয়। সব ঘরেই মেঘলাতে শুয়ে  দুপুরের ঘুম ঘুমাচ্ছে। তুলি ঝুমাকে জড়িয়ে ধরে বলে

– ” তুই কি করে বড়লোক হবি ঝুমাদি বল না। ” 

সবাই বলে ওঠে –

” হ্যাঁ ঝুমা দি বলোনা। ”

ঝুমা তার স্বপ্নের কথা জানতে চাওয়ায় খুব উৎসাহ পায়। বেশ জোর গলায় বলে,

-“শুনবি?খুব সোজা,শোন তবে; প্রথমে আমি দাদাগিরিতে নাম দেব সেখানে জিতলে! না জিতবোই। তাহলে ওখানে তো প্রাইজে ফ্ল্যাট দেবে ,গাছ দেবে,টাকা দেবে,আবার গাড়িও দেবে।”

“তারপর??”

-” তারপর……তারপর আবার দিদি নং 1 এ নাম দেব। সেখানেও জিতবো।”ওখান থেকে ঘর সাজানোর জিনিস পাবো। সে জুতো রেক রাখার  থেকে আলমারি অবধি। রান্নার জন্য বাসন।  “

“ও বাবা তারপর ?”

“তারপর ডান্স বাংলা ডান্স এ নাম দেবো। সেখানেও পাবো। তারপর সা রে গা মা পা-তে নাম দেবো সেখানেও পাবো – জানিস তো আমি গান-নাচ জানি। কিছু অসুবিধা হবে না। তারপর তো প্রচুর বড়লোক হয়ে যাব। তাই না..?”

পাশের ঘরের ছেলেটি সব শুনছিল সে হঠাৎ- হা হা হা করে হেসে ওঠে।বাইরে এসে হাততালি দিতে দিতে বলে,

-” বাহঃ বেশ তো বড়লোক হবার মন্দ রাস্তা নয়।”

ঝুমা লজ্জায় কাঁচুমাচু হয়ে বসে থাকে। সবাই ছুটে যে যার ঘরে চলে যায়। 

ছেলেটি বলে,

-“, তা কবে হবেন বড় লোক?

তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়াতে গেলে মাথা ঘুরে পরে যায় ঝুমা। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি ওকে ধরে ফেলে। 

“সাবধান ইস আপনার গায়ে তো বেশ জ্বর। চলুন আপনাকে শুইয়ে দিই।”

-“না আমি একাই যেতে পারবো।” ব

লে ঝুমা দুপা যেই বাড়ায় আবার টলে পড়ে যাচ্ছিল। ছেলেটি ধরে ফেলে এবং বিছানায় শুইয়ে দেয়। গায়ে চাদরও চাপা দিয়ে দেয়।

ঝুমা শুয়ে শুয়েই হাত জোড় করে বলে,

-“ধন্যবাদ..আর কিছু দরকার নেই আপনি আসুন।” 

ছেলেটি  বলে,

-” ভয় পাবেন না। আমি একজন ডাক্তার। নাম দীপক সেন। আপনার?”

বুকের মধ্যে দুলে উঠলো যেন ঝুমার সেই কোন ছোটবেলায় একজনকে ডাকতো ‘দীপুদা’। ছোটবেলায় একসাথে খেলতাম। চলে আশারদিন একটাপুতুল দিয়ে ছিল আমায়। তারও নামছিল দীপক না কি যেন । সেই ই কি ? না না তা কি করে হবে। যত আজে বাজে চিন্তা।ঝুমাকে চুপ করে থাকতে দেখে দীপক বলে,

“কী হল আপনার নাম টা?  আমার নাম ঝুমা। কোনোরকমে বলে। 

দীপকের মনে কে যেন দোলা দিয়ে গেলো 

ঝুমা কে ঝুমা?

যাকে ছোট বেলায় রাগাতাম ঝুমঝুমি বলে। দ্যাৎ। কি সব ভাবছি। 

মুখে বলে,

-“আপনি শুয়ে থাকুন। আমি ওষুধ দিয়ে যাচ্ছি।”

বেরিয়ে যায় দীপক। কিছুক্ষন পরে ওর কাছে যা ওষুধ ছিল নিয়ে এসে দেখে, ঝুমা চোখ বুজে  শুয়ে আছে। মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে।ভালো করে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে মুখখান একটু শুকিয়ে গেছে। এলোমেলো ক গাছ চুল কপালে পরে আছে। দীপকের মনে একটা গানের কলি মনে আসে – 

“তুমি কোন কাননের ফুল 

কোন গগনের তারা

তোমার কোথায় দেখেছি -“

নিজের মনেই লজ্জায় পাড়ে যায় দীপক। তাড়া তাড়ি ঘর থেকে বাইরে গিয়ে উল্টো দিকে উকিল দাদুকে ডেকে ঝুমার জ্বরের কথা বলে দেয়। কি করণীয় তাও বলে দেয়। সন্ধ্যার পর দীপক বেরিয়ে যায়, বেরুনোর আগে ঝুমার ঘরে এসে দেখে ঝুমা বিছানায় শুয়ে আছে। তার সাথে তুলি কথা বলছে। দীপক সাড়া দিয়ে ঘরে গিয়ে জানিয়ে আসে, সে ঠিক মতো যেন ওষুধ খায় আর বিশ্রাম নেয়। সে দু/তিন দিন আসবে না। 

পরের দিন রবিবার। ঝুমা ভালই আছে। জ্বর ছেড়ে গেছে, কিন্তু শরীরটা একটু দুর্বল। উকিল দাদুর ঘরের সামনে রকে বসে আনাজ কেটে দিচ্ছে। সকাল১০টা বাজে প্রায়। উকিল দাদু আছে উকিল দাদুর ছেলেও আছে। যে যার মতো সব টিফিন খাচ্ছে। ঠিক সেই সময় এক ভদ্রলোক আর এক ভদ্রমহিলা সঙ্গে দীপচাদ কাকু উকিল দাদুর ঘরের কাছে এসে ডাকেন, ঝুমাই উঠে অ্যাপায়ন করে। ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোক শুধু ঝুমার দিকে তাকিয়ে আছেন। ঝুমা বেশ অস্বস্তি বোধ করে।উকিলদাদুর ছেলের বৌ সোমোকে ডেকে দিয়ে চলে আসে নিজের ঘরে।

ঘরে এসে ঝুমা শুয়ে পড়ে। হঠাৎ মনে পড়ে দীপক ওষুধ দিয়েগেছে খেতে হবে তো, না হলে বকবে। জ্বর কমেছে কিন্তু শরীর বেশ দুর্বল,উঠে কৌটো থেকে দুটো বিস্কুট খেয়ে ওষুধ খেলো ঝুমা। শরীরটা টা কেমন করছে, মনে হচ্ছে আবার জ্বর আসছে। সকালে স্নান করা ঠিক হয়নি।যাক গে শুয়ে পরি । ঝুমা শুয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পর সোমা বৌদি আর তুলি হই হই করে ঘরে ঢুকলো। বৌদির হাতে একটা ভালো শাড়ী।

-“কি ব্যাপার?”

উঠে বসে ঝুমা। তুলি হাসাতে হাসতে বলে

-“ওঠো ঝুমা দি।কাপড়টা পরো,চুল টা আঁচড়াও তোমার বিয়ে হবে।”

আকাশ থেকে পরে ঝুমা, মনে কি আমার বিয়ে কে ঠিক করলো । সোমা বৌদি বলে,

-” বাবাতে আর দীপচাদ কাকুতে। উনারা ছেলের বাবা মা।” ঝুমা বোবা,হায় ভগবান।

-“এ কি করছো? আমার সাথে কার বিয়ে ?কে সে? কি রকম?, আমার নিজের পছন্দ অপছন্দ বলে কিছু নেই,- অপরাধী জনিলনা কি তার অপরাধ, ফাঁশি হইয়া গেল। “

সোমা বৌদি আর তুলি কোনরকমে ঝুমাকে কাপড় পরিয়ে চুল আঁচড়ে জোর করে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। ঝুমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।পাত্রের বাবা মায়ের সামনে বসিয়ে দেয় ঝুমাকে।

পাত্রের বাবা মা ঝুমার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেন ওর চোখে জল। তখন তারা সস্নেহে মাথায় হাত রাখেন।পাত্রের মা বলেন,

– “কাঁদছো কেন মা? তোমার কোন ভয় নেই।তোমার ইচ্ছা না হলে কেউ তোমায় জোর করবে না।”

পাত্রের বাবা বলেন,

-” অনেক কষ্টে তোমার খোঁজ পেয়েছি। শিলিগুড়িতে যখন থাকতে তোমাদের পাশের বাড়ি সুধাময় জেঠু কে মনে পড়ে?তোমার খেলার সঙ্গী ছিল দীপদা তাকে মনে আছে?”

চমকে তাকায় ঝুমা সুধাময় বাবুর দিকে, জেঠিমার দিকে।

সত্যিই কি তারা? এত বছর পর। ঝুমা তাড়াতাড়ি তাদের প্রণাম করে।

মুখে হাসি ফোটে ওদের দেখে। সব ভুলে গেলেও ওঁনাদের স্নেহভালবাসার কথা, চলে আসার দিন দিপুদা ওকে একটা পুতুল দিয়েছিল ছেলে পুতুল আর নিজের কাছে রেখেছিল একটা মেয়ে পুতুল।বলেছিল ছেলে পুতুলকে ঝুমা যেনো দীপু ভাবে আর মেয়েপুতুলকে দীপু ঝুমঝুমি ভাববে।ঝুমার ভাবনায় ছেদ পড়ল।উকিলদাদু ঝুমার হতে একটা লাল ফিতে বাধা কাগজ দেন, বলেন যে এই কাগজটি নাকি এই বাড়ির দলিল। দাদু দিপচাদ কাকুকে যেটা মটগেজ রেখেছিল এটা সেটাই। সুধাময় জেঠু বাড়িটা ছড়িয়ে নিয়েছেন। তিন দিন পর ঝুমার বিয়ে দীপকের সাথে। দীপক এখানেই ওর চেম্বার করবে। তুলি বলে,

– “কাল যে তোমায় ডাক্তারী করেছে সেই হল তোমার দীপুদা বুঝলে। এবার একটু হাসো।”

Audio Story Starts From Here:

Story InfoName
Writerকাবেরী ঘোষ
Intro & EndingOlivia Das
কথকSouradip Roy
CharactersName
DipakDebanshu Ghosh
JhumaPriyanka Dutta
OthersOlivia Das, Debanshu Ghosh, Diya Pal

Find us on Facebook – click here

আরো পড়ুন

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *